লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১৬০১ । নারীদের পরস্পরের মধ্যে সমকামিতা হচ্ছে তাদের মাঝে যেনা।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটিকে হায়সাম ইবনু খালাফ দাওরী “যাম্মুল লাওয়াত” গ্রন্থে (২/১৬০), ইবনু আদী (কাফ ২/২৯০) ও ইবনুল জাওযী “যাম্মুল হাওয়া” গ্রন্থে (পৃঃ ২০০) আম্বাসা ইবনু আব্দুর রহমান কুরাশী হতে, তিনি আলা হতে, তিনি মাকহুল হতে, তিনি অসিলাহ ইবনুল আসকা হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি একেবারে দুর্বল। এ আম্বাসা জাল করার দোষে দোষী। সুলাইমান ইবনুল হাকাম ইবনু আওয়ানাহ আল ইবনু কাসীর হতে, তিনি মাকহুল হতে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে তার মুতাবা’য়াত করেছেন।
এটিকে খাতীব (৩০/৯০) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এ সুলাইমান সম্পর্কে ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। নাসাঈ বলেনঃ তিনি মাতরূক। এছাড়া আলী ইবনু কাসীর তার চেয়ে উত্তম নয়। আবু যুর’য়াহ বলেনঃ তিনি য’ঈফুল হাদীস, ওয়াহিউল হাদীস। তিনি মাকহুল সূত্রে অসিলাহ হতে কতিপয় মুনকার হাদীস বর্ণনাকারী।
আবূ হাতিম বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। দুর্বল হওয়ার দিক থেকে তিনি আব্দুল কুদ্দুস ইবনু হাবীব ও উমর ইবনু মূসা ওয়াজীহীর মতই।
আমি (আলবানী) বলছিঃ শেষের এ দু’জন মিথ্যুক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্যদের উদ্ধৃতিতে বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী। আবু আইউব ইবনু মুদরিক তার মুতাবায়াত করেছেন। কিন্তু তিনি মাতরূক। তার হাদীসের মধ্যে হাদীসটির প্রথমে বেশী রয়েছে। তার ভাষাটি পরে উল্লেখ করা হবে। আর বাক্কার ইবনু তামীম তার মুতাবা’য়াত করেছেন। আর তার থেকে বিশর ইবনু আউন বর্ণনা করেছেন। তারা উভয়ে অপরিচিত। তাদের দু’জনের ভাষা বেশি পরিপূর্ণ যেমনটি আসবে।
হাদীসটিকে সুয়ূতী “আলজামেউস সাগীর” গ্রন্থে দু’টি স্থানে অসিলাহ হতে ত্ববারানীর "আলমুজামুল কাবীর" গ্রন্থের বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। আর তার ভাষ্যকার মানবী বলেছেনঃ হাইসামী বলেনঃ তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।
কিন্তু হাফিয যাহাবী "আলকাবায়ের" গ্রন্থে হাদিসটি উল্লেখ করে বলেছেনঃ বর্ণনা করা হয়ে থাকে, অতঃপর বলেছেনঃ এ সনদটি দুর্বল।
সুয়ূতী প্রথম স্থানে উল্লেখিত হাদীসের ভাষা (سحاق ...) এভাবে বর্ণনা করেছেন আর দ্বিতীয় স্থানে আলিফ লাম সহকারে (السحاق ...) এভাবে বর্ণনা করেছেন। এ আলিফ লাম সহকারে বাক্যটি হচ্ছে ত্ববারানী কর্তৃক বর্ণনাকৃত। আর প্রথম বাক্যটি তার নিকটে নেই। সেটি আবু ইয়ালা প্রমুখের নিকট রয়েছে। এটি আবু ইয়ালার “মুসনাদ” গ্রন্থে (৪/১৮০৬-৭৪৯১) বাকিয়্যাহ ইবনুল আলীদ সূত্রে উসমান ইবনু আব্দুর রহমান কুরাশী হতে, তিনি আম্বাসা ইবনু সাঈদ কুরাশী হতে, তিনি মাকহুল হতে বর্ণনা করেছেন।
হাইসামী হাদীসটিকে (৬/২৫৬) দু’ভাষাতেই উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেনঃ এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। আর শাইখ সিলাফী তার সমালোচনা করে ত্ববারানীর টীকায় বলেছেনঃ কিভাবে তার বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য যাদের মধ্যে উসমান ইবনু আব্দুর রহমান অকাসী রয়েছেন যিনি মাতরূক এবং যাকে ইবনু মা’ঈন মিথ্যুক আখ্যা দিয়েছেন। আর আম্বাসা হচ্ছেন দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ উসমান অকাসী নন। বরং ইনি হচ্ছেন হাররানী, ত্বরাইফী নামে পরিচিত। কারণ এ ব্যক্তিই আম্বাসা ইবনু সাঈদ কুরাশী হতে আর তার থেকে বাকিয়্যাহ্ বর্ণনা করেন। যেমনটি হাফিয মিযয়ীর “তাহষীব” গ্রন্থে এসেছে। হাফিয ইবনু হাজার "আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ উসমান ত্বরাইফী সত্যবাদী, তবে তার অধিকাংশ বর্ণনা দুর্বল এবং মাজহুল (অপরিচিত) বর্ণনাকারীদের থেকে। এ কারণে তাকে দুর্বল আখ্যা দেয়া হয়েছে। এমনকি তাকে ইবনু নুমায়ের মিথ্যা বলার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। আর ইবনু মাঈন তাকে নির্ভরযোগ্য আখ্যা দিয়েছেন। আর আম্বাসা ইবনু সাঈদ হচ্ছেন কুরাশী তিনি নির্ভরযোগ্য। শাইখ সিলাফী তাকে কাত্তান অসেতী সন্দেহ করে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। অতএব হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে বাকিয়্যাহ এবং মাকহুল কর্তৃক আন্আন করে বর্ণনাকৃত হওয়া।
আর এ উসমান যে ওকাসী নয় তার প্রমাণ এই যে, অকাসী মাকহুল হতে সরাসরি বর্ণনা করেন। আর ত্বরাইফী মাকহুল হতে আম্বাসার মাধ্যমে বর্ণনা করেছেন। যেমনটি ইবনু হিব্বানের "আযযুয়াফা" গ্রন্থে এসেছে।
سحاق النساء زنا بينهن ضعيف - أخرجه الهيثم بن خلف الدوري في " ذم اللواط " (160 / 2) وابن عدي (ق 290 / 2) وابن الجوزي في " ذم الهو ى " (ص 200) من طريق عنبسة بن عبد الرحمن القرشي عن العلاء عن مكحول عن واثلة بن الأسقع مرفوعا به. قلت: وهذا إسناد واه بمرة، عنبسة هذا متهم بالوضع، وتابعه سليمان بن الحكم بن عوانة عن العلاء بن كثير عن مكحول به. أخرجه الخطيب (90 / 30) . لكن سليمان هذا، قال ابن معين: " ليس بشيء ". وقال النسائي: " متروك ". ثم إن العلاء بن كثير ليس خيرا منه، فقد قال أبو زرعة: " ضعيف الحديث، واهي الحديث، يحدث عن مكحول عن واثلة بمناكير ". وقال أبو حاتم: " منكر الحديث، هو مثل عبد القدوس بن حبيب وعمر بن موسى الوجيهي في الضعفاء قلت: وهذان الأخيران كذابان، وقال ابن حبان: " يروي الموضوعات عن الأثبات وقد تابعه أيوب بن مدرك، ولكنه متروك، وفي حديثه زيادة في أوله، ولفظه يذكر بعده. وتابعه بكار بن تميم، وعنه بشر بن عون، مجهولان، ولفظهما أتم كما يأتي. والحديث أورده السيوطي في " الجامع الصغير "، في موضعين منه من رواية الطبراني في " الكبير " عن واثلة. وقال شارحه المناوي: " قال الهيثمي: رجاله ثقات لكن أورده الذهبي في " الكبائر " ولم يعزه لمخرج، بل قال: " يروى "، ثم قال: " وهذا إسناد لين ". ثم إن السيوطي أورده في الموضع الأول بلفظ الترجمة: " سحاق ... "، وفي الموضع الآخر: " السحاق.." بالتعريف. وهذا اللفظ للطبراني بخلاف الأول فليس عنده، وإنما لأبي يعلى وغيره، وهو في " مسنده " (4 / 1806) و" كبير الطبراني " (22 / 63 / 153) من طريق بقية بن الوليد عن عثمان بن عبد الرحمن القرشي قال: حدثني عنبسة بن سعيد القرشي عن مكحول به وقد أورده الهيثمي (6 / 256) باللفظين، وعزا كل واحد لمن ذكرنا، وقال " ورجاله ثقات ". وتعقبه صاحبنا الشيخ السلفي في " تعليقه على الطبراني " بقوله: " قلت: كيف يكون " رجاله ثقات " وفيهم عثمان بن عبد الرحمن الوقاصي وهو متروك، وكذبه ابن معين. وعنبسة ضعيف وأقول: عثمان هذا ليس هو الوقاصي. بل هو الحراني المعروف بالطرائفي، فإنه هو الذي يروي عن عنبسة بن سعيد القرشي وعنه بقية بن الوليد، وهو من أقرانه كما في " تهذيب الحافظ المزي "، وإذا عرف هذا، فالتوثيق الذي ذكره الهيثمي له وجه، لولا أن الطرائفي قد ضعف، لكن بسبب لا ينافي صدقه كما يستفاد من ترجمته في " التهذيب " وغيره، وقد لخصها الحافظ في " التقريب " بقوله: " صدوق، أكثر الرواية عن الضعفاء والمجاهيل، فضعف بسبب ذلك، حتى نسبه ابن نمير إلى الكذب، وقد وثقه ابن معين ". وعنبسة بن سعيد هو القرشي، كما هو صريح رواية أبي يعلى وهو ثقة، وتوهم الشيخ أنه القطان الواسطي، فضعفه، فالعلة عنعنة بقية ومكحول أيضا ومما يؤكد أن عثمان هذا ليس هو الوقاصي، أنه لا يروي عن مكحول إلا بواسطة عنبسة هذا، والوقاصي يروي عن مكحول مباشرة كما في " الضعفاء " لابن حبان وغيره