১৩৩১

পরিচ্ছেদঃ

১৩৩১। হে বিলাল তুমি কি অনুভব করো যে, সওম পালনকারীর হাড়গুলো তাসবীহ পাঠ করে আর তার নিকট যখন কিছু খাওয়া হয় তখন ফেরেশতারা তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।

হাদীসটি বানোয়াট।

হাদীসটি ইবনু মাজাহ (১৭৪৯), বাইহাকী “শু’য়াবুল ঈমান” গ্রন্থে ও তার সূত্র হতে ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক" গ্রন্থে (৩/২৩২/২, ১০/৩৩০) আবু উৎবাহ সূত্রে বাকীয়্যাহ হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনু আব্দির রহমান হতে, তিনি সুলায়মান ইবনু বুরায়দাহ হতে, তিনি তার পিতা হতে তিনি বলেনঃ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন এ সময়ে বিলাল প্রবেশ করল। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (আস) দুপুরের খাবার হে বিলাল! বিলাল বললঃ আমি সওম পালনকারী হে আল্লাহর রসূল! তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমরা আমাদের রিযক খাচ্ছি আর বিলালের খাদ্যের ফাযীলাত জান্নাতে (অতঃপর বললেনঃ ...)।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি খুবই দুর্বল। মুহাম্মাদ ইবনু আবদির রহমান হচ্ছেন কুশায়রী। ইবনু আদী তার সম্পর্কে বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস।

হাফিয যাহাবী তাকে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তার মধ্যে অজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মিথ্যা বর্ণনা করার দোষে দোষী, তিনি নির্ভরযোগ্য নন। তার সম্পর্কে আবুল ফাত্হ আযদী বলেনঃ তিনি মিথ্যুক, মাতরূকুল হাদীস।

আমি (আলবানী) বলছিঃ অনুরূপ কথা আবু হাতিম আর-রাযীও বলেছেন। হাফিয যাহাবীর নিকট থেকে তা ছুটে গেছে, তা না হলে তিনি আবু হাতিমকে বাদ দিয়ে আযদীর সমালোচনামূলক বক্তব্যের দিকে ঝুঁকতেন না। ইবনু আবী হাতিম “আল-জারহ আততাব্দীল” গ্রন্থে ৩/২/৩২৫) তার জীবনী আলোচনা করে বলেছেনঃ আমি আমার পিতাকে তার (বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুর রহমান...) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। তিনি মিথ্যা বলতেন এবং হাদীস বানাতেন।

অতএব হাফিয যাহাবী যে বলেছেনঃ তার মধ্যে অজ্ঞতা রয়েছে এরূপ কথার কোন অর্থ হয় না। কারণ তিনি পরিচিত কিন্তু হাদীসের ক্ষেত্রে মিথ্যার সাথে। তার মত ব্যক্তির হাদীস বানোয়াটই হবে।

আর আরেক বর্ণনাকারী বাকীয়্যাহ হচ্ছেন মুদাল্লিস। তবে তিনি এখানে স্পষ্টভাবে হাদীস বর্ণনা করার কথা বলেছেন। অর্থাৎ এখানে তাদলীস ঘটেনি। যে শাইখ কখনও কখনও তাদলীস করতেন তিনি এ কুশায়রী হতে নিকৃষ্ট নন।

তবে বাকীয়্যাহ হতে বর্ণনাকারী আবু উৎবাহ সমালোচনা হতে মুক্ত নন যেমনটি "আল-মীযান" এবং “আল-লিসান” গ্রন্থে তার জীবনীতে এসেছে। তবে তিনি এখানে এককভাবে বর্ণনা করেননি। কারণ ইবনু মাজাহ তার সুনান গ্রন্থে বলেনঃ আমাদেরকে মুহাম্মাদ ইবনুল মুসাফফা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আর তিনি বাকীয়্যাহ হতে বর্ণনা করেছেন ...। অতএব হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে কুশায়রী।

أشعرت يا بلال! أن الصائم تسبح عظامه، وتستغفر له الملائكة ما أكل عنده موضوع - أخرجه ابن ماجه (1749) والبيهقي في " شعب الإيمان " ومن طريقه ابن عساكر في " تاريخ دمشق " (3/232/2 و10/330 - ط) من طريق أبي عتبة عن بقية: حدثنا محمد بن عبد الرحمن عن سليمان بن بريدة [عن أبيه] قال: " دخل بلال على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يتغدى، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: [الغداء يا بلال! قال: إني صائم يا رسول الله] فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نأكل رزقنا، وفضل رزق بلال في الجنة، أشعرت قلت: وهذا إسناد ضعيف جدا؛ محمد بن عبد الرحمن هو القشيري، قال ابن عدي: " منكر الحديث ". ذكره الذهبي وقال: " وفيه جهالة، وهو متهم ليس بثقة، وقد قال فيه أبو الفتح الأزدي: كذاب متروك الحديث قلت: وكذلك قال أبو حاتم الرازي، وكأن الذهبي فاته ذلك، وإلا لما عدل عنه إلى الأزدي المنتقد في نقده، فقد ترجمه ابنه في " الجرح والتعديل " (3/2/325) وقال: " وسألته عنه، فقال: متروك الحديث، كان يكذب ويفتعل الحديث وإذن فلا وجه لقول الذهبي: " فيه جهالة ". فالرجل معروف، ولكن بالكذب في الحديث، فمثله يكون حديثه موضوعا ولا كرامة. وبقية، مدلس، ولكنه قد صرح هنا بالتحديث، وليس به حاجة إلى التدليس، فالشيخ الذي قد يدلسه، لن يكون شرا من هذا القشيري ولكن الراوي عنه أبو عتبة، ليس سالما من القدح كما تراه في ترجمته من "الميزان " و" اللسان " إلا أنه لم يتفرد به، فقد قال ابن ماجه في " سننه " (1749) : حدثنا محمد بن المصفى: حدثنا بقية به. فآفة الحديث من القشيري تنبيه : وقع في نسخة " التاريخ " سقط في هذا الحديث، من الناسخ، فاستدركته من " مشكاة المصابيح " (2082) فإنه ذكره من رواية البيهقي في " شعب الإيمان " عن بريدة، وهو كعادته لم يتكلم بشيء على إسناده، فحققت القول عليه هنا، وذكرت خلاصته في تعليقي عليه للمرة الثانية، أتيت فيها على الأحاديث التي لم يتيسر لي الكلام عليها في المرة الأولى، فحققت القول فيها أيضا، عسى أن يعاد طبعه مرة أخرى إن شاء الله تعالى


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ