লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
১২৭৪। যে ব্যক্তি ব্যভিচার করবে অথবা মদ পান করবে আল্লাহ্ তা’আলা তার থেকে ঈমানকে ছিনিয়ে নিবেন যেরূপ মানুষ তার জামাকে তার মাথা থেকে খুলে নেয় সেভাবে।
হাদীসটি দুর্বল।
হাদীসটি হাকিম (১/২২) সাঈদ ইবনু আবী আইউব সূত্রে আব্দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ হতে, তিনি ইবনু হুজাইরাহ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ...।
হাকিম বলেনঃ হাদিসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। তিনি আব্দুর রহমান ইবনু হুজাইরাহ এবং আব্দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদের দ্বারা দলীল গ্রহণ করেছেন। তারা দু’জনই শামী। হাফিয যাহাবীও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
কিন্তু কয়েকভাবে তারা দু’জনে ধোকায় পড়েছেনঃ
১। এখানে উল্লেখিত ইবনু হুজাইরাহ আব্দুর রহমান নন। বরং তিনি হচ্ছেন তার ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনু আবদির রহমান ইবনে হুজাইরাহ। কারণ তার (ছেলে) থেকেই আব্দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ বর্ণনা করে থাকেন। যেমনটি তাদের উভয়ের জীবনীতে আলোচিত হয়েছে। আর এ কারণে হাদীসটির সনদ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে, কারণ এ আব্দুল্লাহ ইবনু আদির রহমানের আবু হুরাইরাহ (রাঃ) অথবা অন্য কোন সাহাবী হতে বর্ণনা মিলে না। যারাই তার জীবনী আলোচনা করেছেন তারা সকলেই বলেছেন যে, তিনি শুধুমাত্র তার পিতার উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, সনদ থেকে তিনি তার পিতা হতে বর্ণনা করেছেন কথাটি পড়ে গেছে।
২। আবদুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদ এবং ইবনু হুজাইরাহ তারা উভয়েই শমী নন। বরং তারা উভয়েই মিসরী।
৩। আব্দুল্লাহ ইবনু আবদির রহমান ইবনে হুজাইরাহ আসলে ইমাম মুসলিমের বর্ণনাকারী নন। অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইবনুল ওয়ালীদও তার বর্ণনাকারী নন। তাকে ইবনু হিব্বান “আস-সিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আর দারাকুতনী তাকে (ইবনুল ওয়ালীদকে) দুর্বল আখ্যা দিয়ে বলেছেনঃ তার হাদীসকে গণ্যই করা যায় না।
হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি হাদীসের ক্ষেত্রে দুর্বল।
এ থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে, হাদীসটির সনদ দুর্বল।
জি হ্যাঁ, এ মর্মে সহীহ সনদে হাদীস বর্ণিত হয়েছে তবে নিম্নলিখিত ভাষায়ঃ
إذا زنى العبد خرج منه الإيمان وكان كالظلة، فإذا انقلع منها رجع إليه الإيمان
“বান্দা যখন ব্যভিচার করে তখন তার থেকে ঈমান বেরিয়ে গিয়ে ছায়ার মত ঈমান (তার উপরে) অবস্থান করে। অতঃপর যখন ব্যভিচার থেকে মুক্ত হয় তখন ঈমান তার নিকট ফিরে আসে।” এ হাদীসটি সহীহ, দেখুন "সিলসিলাহ সহীহাহ" (৫০৯)।
আলোচ্য দুর্বল হাদিসটির ন্যায় আরেকটি দুর্বল হাদীস নিম্নের ভাষায় বর্ণিত হয়েছেঃ
إن الإيمان سربال يسربله الله من يشاء، فإذا زنى العبد نزع منه سربال الإيمان، فإن تاب رد عليه
"ঈমান হচ্ছে জামা বা পরিধেয় বস্ত্র বিশেষ, আল্লাহ যাকে চান তাকে তা পরিয়ে দেন। অতঃপর বান্দা যখন ব্যভিচার করে তখন তার থেকে ঈমানের জামাটি ছিনিয়ে নেন। অতঃপর যদি তওবা করে তাহলে তার নিকট ঈমানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।"
এটিকে আমর ইবনু আব্দিল গাফফার- আল-আওয়াম ইবনু হাওশাব হতে, তিনি আলী ইবনু মুদরিক হতে, তিনি আবু যুর’য়াহ হতে, তিনি আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এটিকে বাইহাকী "আশ-শুয়াব" গ্রন্থে (২/১১৯/১-২) বর্ণনা করেছেন।
এর বর্ণনাকা আমর সম্পর্কে আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মাতরূকুল হাদীস। ইবনু আদী বলেনঃ তাকে হাদীস বানানোর দোষে দোষী করা হয়েছে।
من زنى أوشرب الخمر نزع الله منه الإيمان كما يخلع الإنسان القميص من رأسه ضعيف - أخرجه الحاكم (1/22) من طريق سعيد بن أبي أيوب: حدثنا عبد الله بن الوليد عن ابن حجيرة أنه سمع أبا هريرة رضي الله عنه يقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره وقال:" [صحيح] على شرط مسلم، فقد احتج بعبد الرحمن بن حجيرة وعبد الله بن الوليد وهما شاميان ". كذا قال، ووافقه الذهبي. وقد وهما من وجوه الأول: أن ابن حجيرة هنا ليس هو عبد الرحمن بل ابنه عبد الله بن عبد الرحمن بن حجيرة، فإنه هو الذي يروي عنه عبد الله بن الوليد. كما جاء في ترجمتيهما. وعلى هذا ففي الإسناد إشكال، ذلك لأن عبد الله هذا ليس له رواية عن أبي هريرة ولا عن غيره من الصحابة، وكل ما قالوه في ترجمته أنه روى عن أبيه لا غير. وعلى هذا فكأنه سقط من الإسناد قوله: " عن أبيه ". والله أعلم الثاني: أن عبد الله بن الوليد وابن حجيرة ليسا شاميين، وإنما هما مصريان الثالث: أن عبد الله بن عبد الرحمن بن حجيرة ليس من رجال مسلم أصلا. وكذا عبد الله بن الوليد، وقد ذكره ابن حبان في " الثقات "، وضعفه الدارقطني فقال: " لا يعتبر بحديثه وقال الحافظ: " لين الحديث ". ومنه يتبين أن الإسناد ضعيف. نعم قد جاء الحديث بإسناد صحيح لكن بلفظ: " إذا زنى العبد خرج منه الإيمان وكان كالظلة، فإذا انقلع منها رجع إليه الإيمان ". وهو في " الأحاديث الصحيحة " (509) ومثل حديث الترجمة في الضعف ما رواه عمرو بن عبد الغفار: حدثنا العوام بن حوشب: حدثني علي بن مدرك عن أبي زرعة عن أبي هريرة مرفوعا بلفظ: " إن الإيمان سربال يسربله الله من يشاء، فإذا زنى العبد نزع منه سربال الإيمان، فإن تاب رد عليه أخرجه البيهقي في " الشعب " (2/119/1 - 2) وعمرو هذا قال أبو حاتم: " متروك الحديث وقال ابن عدي: " اتهم بوضع الحديث