৬৭১

পরিচ্ছেদঃ

৬৭১। গাফেলদের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণকারী সেই ব্যক্তির ন্যায় যে লড়াই করে সেই সময় যখন অন্যরা পালাতে থাকে। গাফেলদের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণকারী সেই সবুজবর্ণের গাছের ন্যায় যেটি গাছগুলোর মধ্যস্থলে হওয়ায় তার পাতাগুলোকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হতে রক্ষা করছে। ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়েম বলেনঃ "আয-যারীব" অর্থ প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। গাফেলদের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণকারী ব্যক্তিকে প্রত্যেক ফাসীহ এবং আজমের সংখ্যায় ক্ষমা করে দেয়া হবে। তিনি বলেনঃ ফাসীহ হচ্ছেন আদম সন্তানরা আর আজাম হচ্ছে চতুষ্পদ জন্তুগুলো। গাফেলদের মধ্যে আল্লাহকে স্মরণকারী ব্যক্তির বাসস্থান যে জান্নাতে, আল্লাহ তাআলা তাকে তা জানিয়ে দিবেন।

হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।

এটিকে আল-হাসান ইবনু আরাফা "আল-জুযউ" (৯৬/১-২) গ্রন্থে ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়েম আত-তাঈ হতে তিনি ইমরান ইবনু মুসলিম এবং আব্বাদ ইবনু কাছীর হতে তারা দু’জনে আব্দুল্লাহ ইবনু দীনার হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

অনুরূপভাবে আল-খাত্তাবী "গারীবুল হাদীছ" (১/৮/২) গ্রন্থে, হাফিয ইবনু আসাকির “ফাযীলাতু যিকরিল্লাহি তা’আলা” (২/৯৪) গ্রন্থে অন্য সূত্রে আত-তায়েফী হতে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি সনদ হতে আব্বাদ ইবনু কাছীরকে ফেলে দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেনঃ এ হাদীছটি গারীব।

আবু নোয়াইমও (৬/১৮১) আল-হাসান ইবনু আরাফাহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। হাফিয ইরাকী সনদটিকে দুর্বল বলেছেন। কারণ তাতে ইমরান ইবনু মুসলিম আল-কাছীর রয়েছেন। যাহাবী “মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ ইমাম বুখারী বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। অতঃপর তিনি তার এ হাদীছটি উল্লেখ করেছেন।

ইমাম বুখারীর ভাষ্য প্রমাণ করছে যে, হাদীছটি খুবই দুর্বল ৷ আব্বাদ ইবনু কাছীরের মুতাবা’য়াত কোন উপকারে আসবে না। কারণ তিনি মিথ্যার দোষে দোষী।

ذاكر الله في الغافلين مثل الذي يقاتل عن الفارين، وذاكر الله في الغافلين مثل الشجرة الخضراء في وسط الشجر الذي قد تحات ورقه من الضريب. (قال يحيى بن سليم: يعني بـ " الضريب " البرد الشديد) ، وذاكر الله في الغافلين يغفر له بعدد كل فصيح وأعجم. (قال: فالفصيح بنوآدم، والأعجم البهائم) ، وذاكر الله في الغافلين يعرفه الله عز وجل مقعده من الجنة ضعيف جدا - رواه الحسن بن عرفة في " جزئه " (96 / 1 - 2) : حدثنا يحيى بن سليم الطائفي قال: سمعت عمران بن مسلم وعباد بن كثير يحدثان عن عبد الله بن دينار عن عبد الله بن عمر مرفوعا وكذلك رواه الخطابي في " غريب الحديث " (1 / 8 / 2) والحافظ ابن عساكر في " فضيلة ذكر الله عز وجل " (94 / 2 مجموع 24) من طريق أخرى عن الطائفي به، إلا أنه أسقط من إسناده عباد بن كثير، ثم قال " هذا حديث غريب ". ورواه أبو نعيم (6 / 181) من طريق الحسن بن عرفة، وإلى أبي نعيم فقط عزاه السيوطي في " الجامع "، فلو عزاه إلى ابن عرفة كان أولى، قال الشارح: " وكذا رواه البيهقي في " الشعب " عن ابن عمر، قال الحافظ العراقي: سنده ضعيف، أي وذلك لأن فيه عمران بن مسلم القصير، قال في " الميزان ": قال البخاري: منكر الحديث. ثم أورد له هذا الخبر قلت: الذهبي إنما أورد الحديث في ترجمة " عمران بن مسلم " الذي قبل ترجمة " عمران بن مسلم القصير "، وهذا قد روى عنه البخاري في " صحيحه والأول قال فيه: " منكر الحديث ". فهذا دليل على أنه فرق بينهما، وكذا فرق بينهما جماعة، فعليه جرى الذهبي. وقول البخاري فيه " منكر الحديث " يشير إلى أنه ضعيف جدا، ولا يفيده متابعة عباد بن كثير، فإنه متهم كما سبق مرارا. وكذلك لا يعطيه شيئا من القوة الشاهد الذي ذكره السيوطي قبله، لشدة ضعفه وهو الآتي


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ