লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
৬৪৭। কোন সৃষ্টি ঈমানের দিক দিয়ে তোমাদের নিকট সর্বাপেক্ষা আশ্চর্যজনক মনে হয়? তারা বললঃ ফেরেশতারা। তিনি বললেনঃ তারা তাদের প্রভুর নিকটে থাকা সত্ত্বেও কেন ঈমান আনবে না? তারা বললঃ তাহলে নবীগণ। তিনি বললেনঃ তাদের উপর ওয়াহী নাযিল হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা ঈমান আনবে না? তারা বললঃ তাহলে আমরা। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কেন তোমরা ঈমান আনবে না? অতঃপর বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জেনে রাখ! আমার নিকট ঈমানের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা আশ্চর্য ধরনের সৃষ্টি হচ্ছে সেই জাতি যারা তোমাদের পরে আসবে এবং এমন ধরনের গ্রন্থগুলো প্রাপ্ত হবে যার মধ্যে একটি গ্রন্থ থাকবে তাতে যা আছে তারা তার উপর ঈমান আনবে।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি হাসান ইবনু আরাফা ইসমাঈল ইবনু আইয়াশ আল-হিমসী হতে তিনি মুগীরা ইবনু কায়েস হতে তিনি আমর ইবনু শু’য়ায়িব হতে ... বর্ণনা করেছেন। (২/৯০) গ্রন্থে, অনুরূপভাবে বাইহাকী “আদ-দালায়েল” (খণ্ড ২) গ্রন্থে এবং আল-খাতীব "শারাফু আসহাবিল হাদীছ" (২/২৬) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। ইসমাঈল ইবনু আইয়াশ শামীদের ছাড়া অন্যদের থেকে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে দুর্বল আর এটি অন্যদের থেকে বর্ণনারই অন্তর্ভুক্ত। মুগীরাও দুর্বল। ইবনু আবী হাতিম (৪/১/২২৭) বলেনঃ তিনি বাসরী, তিনি আমর ইবনু শুয়ায়িব হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি মুনকারুল হাদীছ।
আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবনু হিব্বান তাকে "আছ-ছিকাত" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, যেমনটি “আল-লিসান” গ্রন্থে এসেছে। হাদীছটি বাইহাকী অন্য সূত্রে মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ সেটি মুরসাল হওয়া সত্ত্বেও দুর্বল। আবু নোয়াইম “আখবারু আসবাহান” (১/৩০৮-৩০৯) গ্রন্থে এবং সাহমী (৩৬৩) খালেদ ইবনু ইয়াযীদ আল-উমারী সূত্রে সাওরী হতে ... মওসূল হিসাবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এই উমারী মিথ্যুক জালকারী। হাদীছটি অন্য বাক্যেও বর্ণনা করা হয়েছে, সেটি হচ্ছেঃ (দেখুন পরেরটি)
أي الخلق أعجب إليكم إيمانا؟ قالوا: الملائكة، قال: وما لهم لا يؤمنون وهم عند ربهم عز وجل؟ قالوا: فالنبيون، قال: وما لهم لا يؤمنون والوحي ينزل عليهم؟ قالوا: فنحن، قال: وما لكم لا تؤمنون وأنا بين أظهركم؟ قال: فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ألا إن أعجب الخلق إلي إيمانا لقوم يكونون من بعدكم يجدون صحفا فيها كتاب يؤمنون بما فيها ضعيف - رواه الحسن بن عرفة: حدثنا إسماعيل بن عياش الحمصي عن المغيرة بن قيس التميمي عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده مرفوعا. رواه عنه إسماعيل بن محمد الصفار في " جزئه " (90 / 2 مجموع 22) وكذا البيهقي في " الدلائل " (ج 2) والخطيب في " شرف أصحاب الحديث " (26 / 2) وطراد أبو الفوارس في " ما أملاه يوم الجمعة 14 شعبان سنة 478 قلت: وهذا إسناد ضعيف، إسماعيل بن عياش ضعيف في روايته عن غير الشاميين وهذه منها، فإن المغيرة بن قيس بصري. وهو ضعيف أيضا. قال ابن أبي حاتم (4 / 1 / 227) : " بصري، روى عن عمرو بن شعيب، روى عنه أبو عامر عبد الملك بن عمرو العقدي، سمعت أبي يقول ذلك، ويقول: هو منكر الحديث قلت: وأما ابن حبان فذكره في " الثقات "! كما في " اللسان ". ورواه البيهقي من طريق مالك بن مغول عن طلحة عن أبي صالح مرفوعا. وقال: " هذا مرسل ". قلت: وهو على إرساله ضعيف وقد وصله أبو نعيم في " أخبار أصبهان " (1 / 308 - 309) والسهمي (363) من طريق خالد بن يزيد العمري: حدثنا الثوري عن مالك بن مغول عن طلحة بن مصرف عن أبي صالح عن أبي هريرة مرفوعا. لكن العمري هذا كذاب وضاع. وقد روي الحديث بلفظ آخر وهو (الاتي)