পরিচ্ছেদঃ
৬৪৮। ঈমানদারদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ঈমানদার কে তোমরা জান কি? তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল তারা ফেরেশতারা? তিনি বললেনঃ তারাতো সেরূপই এবং তা তাদের কর্তব্যও বটে। তাদেরকে কোন বস্তুটি (ঈমান আনা হতে) বাধা সৃষ্টি করবে এমতাবস্থায় যে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে এমন এক মর্যাদা দান করেছেন যার দ্বারা শুধু তারাই অলংকৃত? বরং তারা ছাড়া অন্যরা। তারা বললঃ হে আল্লাহর রাসূল। তাহলে নবীগণ যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নুবুওয়াত এবং রিসালাত দ্বারা সম্মানিত করেছেন? তিনি বললেনঃ তারাতো সেরূপই এবং তা তাদের কর্তব্যও বটে। তাদেরকে কোন বস্তু (ঈমান আনা হতে) বাধা সৃষ্টি করবে এমতাবস্থায় যে আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে এমন এক মর্যাদা দান করেছেন যার দ্বারা শুধু তারাই অলংকৃত? বরং তারা ছাড়া অন্যরা। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললামঃ তাহলে তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেনঃ তারা এমন কতিপয় জাতি যারা আমার পরে আসবে, তারা এখন তাদের পুরুষদের পিঠেই রয়েছে। অতঃপর তারা আমার উপর ঈমান আনবে অথচ আমাকে তারা দেখেনি। তারা ঝুলন্ত পাতা পাবে অতঃপর তারা তাতে যা আছে তার উপর আমল করবে। তারাই হচ্ছে ঈমানদারদের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ঈমানদার।
হাদীছটি নিতান্তই দুর্বল।
এটি বাগাবী “হাদীছু মুস’য়াব আয-যুবায়দী” (২/১৫২) গ্রন্থে, তার থেকে ইবনু আসাকির (১৬/২৭৪/১), আল-খাতীব "শারাফু আসহাবিল হাদীছ" (৩৬, ৩৭) গ্রন্থে আবু ইয়ালা সূত্রে এটি তার "মুসনাদ" (২/১৩) গ্রন্থে এবং হাকিম (৪/৮৫-৮৬) বর্ণনা করেছেন। আর তার থেকে আল-হারাবী “যাম্মুল কালাম" (১/১৪৮) গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবনু আবী হামীদ হতে তিনি যায়েদ ইবনু আসলাম হতে তিনি তার পিতা হতে ...বর্ণনা করেছেন। অতঃপর বলেছেনঃ সনদটি সহীহ। ইমাম যাহাবী তার প্রতিবাদ করে বলেছেনঃ মুহাম্মদকে মুহাদ্দিছগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তাকে ইমাম বুখারী মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। নাসাঈ বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য নন। তিনি এমন এক স্তরের ব্যক্তি যার হাদীছ দ্বারা সাক্ষ্য (শাহেদ) গ্রহণ করা যায় না। যেমনটি সুয়ুতী "তাদরীবুর রাবী" (পৃঃ ১২৭) গ্রন্থে বলেছেন। এ কারণেই এ হাদীছটি পূর্বোল্লিখিত হাদীছের শাহেদ হবার যোগ্য নয়।
জানি না ইবনু কাসীর কেন "ইখতিসারু উলুমিল হাদীছ" (পৃঃ ১৪৩) গ্রন্থে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে বললেন। সম্ভবত তিনি ধারণা করেছেন যে, মুহাম্মাদ ইবনু আবী হামীদ শাহেদযোগ্য। অথবা তিনি অন্য কোন সূত্র পেয়েছেন। যার দ্বারা হাদীছটি শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু আমরা তা পাইনি। যেহেতু অন্য সূত্র আমরা পাইনি। অতএব আমরা যা বলেছি, তাই আমাদেরকে বলতে হবে।
হাদীছটির অন্য সূত্রও পাওয়া গেছে কিন্তু দুর্বলতা হতে মুক্ত নয় বিধায় দুর্বলতা হতে তার বের হয়ে আসা সম্ভব হয়নি। সেটিকে উকায়লী “আয-যোয়াফা (৪২৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।
أتدرون أي أهل الإيمان أفضل إيمانا؟ قالوا: يا رسول الله الملائكة؟ قال: هم كذلك، ويحق ذلك لهم، وما يمنعهم وقد أنزلهم الله المنزلة التي أنزلهم بها؟ بل غيرهم. قالوا: يا رسول الله فالأنبياء الذين أكرمهم الله تعالى
بالنبوة والرسالة؟ قال: هم كذلك ويحق لهم ذلك، وما يمنعهم وقد أنزلهم الله المنزلة التي أنزلهم بها؟ بل غيرهم. قال: قلنا: فمن هم يا رسول الله؟ قال: أقوام يأتون من بعدي في أصلاب الرجال فيؤمنون بي ولم يروني، ويجدون الورق المعلق فيعملون بما فيه، فهؤلاء أفضل أهل الإيمان إيمانا
ضعيف جدا
-
رواه البغوي في " حديث مصعب الزبيري " (152 / 2) وعنه ابن عساكر (16 / 274 / 1) والخطيب في " شرف أصحاب الحديث " (36 - 37) من طريق أبي يعلى وهذا في " مسنده " (13 / 2) والحاكم (4 / 85 - 86) وعنه الهروي في " ذم الكلام " (148 / 1) عن محمد بن أبي حميد عن زيد بن أسلم عن أبيه عن
عمر مرفوعا. وقال: " صحيح الإسناد ". ورده الذهبي بقوله: " قلت: بل محمد ضعفوه
قلت: قد اتهمه البخاري بقوله فيه: " منكر الحديث " وقال النسائي: " ليس بثقة
فمثله في مرتبة من لا يستشهد بحديثه ولا يعتبر به كما بينه السيوطي في " تدريب الراوي " (ص 127) . فعلى هذا لا يصلح الحديث شاهدا للذي قبله، فلا أدري لم جزم الحافظ ابن كثير في " اختصار علوم الحديث " (ص 143) بنسبته إلى النبي صلى الله عليه وسلم بقوله: " وقد ورد في الحديث عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال " فذكره واستدل به على جواز العمل بالوجادة، فلعله ظن أن ابن أبي حميد هذا ممن يستشهد به، أو أنه وقف له على طريق أو طرق أخرى يتقوى الحديث بها
وحينئذ ينبغي النظر فيها، فإن صلح شيء منها للاستشهاد فبها، وإلا فنحن على ما تبين لنا الآن. والحديث عزاه في " الجامع الكبير " (3 / 170 / 2) لأبي يعلى والعقيلي والمرهبي في " العلم
والحاكم، وتعقبه الحافظ ابن حجر في أطرافه بأن فيه محمد بن أبي حميد متروك الحديث، وقال في " المطالب العالية ": محمد ضعيف الحديث سيء الحفظ. وقال البزار: الصواب أنه عن زيد بن أسلم مرسل. وقد وجدت لابن أبي حميد متابعا، أخرجه العقيلي في " الضعفاء " (427) عن المنهال بن بحر قال: حدثنا هشام بن أبي عبد الله عن يحيى بن أبي كثير عن زيد بن أسلم به
وقال العقيلي: " المنهال في حديثه نظر، وهذا الحديث إنما يعرف لمحمد بن أبي حميد عن زيد بن أسلم وليس بمحفوظ من حديث يحيى بن أبي كثير، ولا يتابع منهالا عليه أحد
قلت: والمنهال هذا ذكره ابن عدي في " الكامل "، وأشار إلى تليينه، ووثقه أبو حاتم وابن حبان، فإن كان حفظه بهذا الإسناد، فعلته عنعنة يحيى بن أبي كثير، فإنه كان مدلسا، ولهذا أورده العقيلي في " الضعفاء " (466) فقال: " ذكر بالتدليس
وتبعه على ذلك الذهبي في " الميزان " وابن حجر في " التقريب "، ولا أستبعد أن يكون سمعه من ابن أبي حميد هذا فدلسه. والله أعلم
وجملة القول أن هذا الإسناد ضعيف جدا لا يصلح للاستشهاد به، وقد وجدت للحديث طريقين آخرين، أحدهما تقدم قبل هذا، وهو خير من هذا، والآخر أشدهما ضعفا وهو (الاتي)