৬০৪

পরিচ্ছেদঃ

৬০৪। যমীনে বাদশা হচ্ছে দয়াময় আল্লাহর ছায়ার একটি ছায়া। তার বান্দাদের থেকে প্রত্যেক অত্যাচারিত ব্যক্তি তার নিকট আশ্রয় নিয়ে থাকে। সে যদি ইনসাফ করে তাহলে তার জন্য রয়েছে সাওয়াব, আর প্রজার কর্তব্য হচ্ছে শুকরিয়া আদায় করা। আর সে যদি অত্যাচার করে বা অবিচার করে বা যুলুম করে, তাহলে তা তার উপর গুনাহস্বরূপ হবে। তখন প্রজাদের উচিত হবে ধৈর্য ধারণ করা। যখন দায়িত্বশীলরা অত্যাচার করবে তখন আসমান হতে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে। যদি যাকাত বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে চতুষ্পদ জন্তুগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। যখন সুদের (অন্য বর্ণনায় এসেছে) যেনার বিস্তার ঘটবে তখন দরিদ্রতা ছড়িয়ে পড়বে। যখন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হবে তখন কাফেরদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

হাদীছটি জাল।

এটি তাম্মাম (আল-ফাওয়ায়েদ” (৫/৮০-৮১ অন্য কপিতে ৫/৪৯-৫০) গ্রন্থে, ইবনু আদী "আল-কামিল" (১/১৭৫) গ্রন্থে, যিয়া "আল-মুন্তাকা মিম মাসমূয়াতিহি বেমারূ" (২/২৭) গ্রন্থে সাঈদ ইবনু সিনান সূত্রে আবুয যাহেরিয়া হতে তিনি কাছীর ইবনু মুররা হতে তিনি আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

প্রথম অংশটি কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” (কাফ ২/২২) গ্রন্থে এবং দাইলামী (২/২২০) বর্ণনা করেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি বানোয়াট। সাঈদ ইবনু সিনান হচ্ছেন আবু মাহদী আল-হিমসী। তাকে ইমাম বুখারী নিম্নোক্ত ভাষায় মিথ্যার দোষে দোষী করেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। জুযজানী বলেনঃ আমার ভয় হচ্ছে যে, তার হাদীছগুলো বানোয়াট। দারাকুতনী বলেনঃ তিনি হাদীছ জালকারী। তাকে সকল ইমাম দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু আদী বলেনঃ তার অধিকাংশ বর্ণনাই নিরাপদ নয়। এ কারণেই ইমাম যাহাবী তাকে “আয-যোয়াফা ওয়াল মাতরূকীন” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ তিনি হালেক। হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব" গ্রন্থে বলেনঃ তিনি মাতরূক। দারাকুতনী ও অন্য বিদ্বানগণ তাকে জাল করার দোষে দোষী করেছেন।

হাদিসটিকে ইমাম সুয়ূতী "আল-জামে" গ্রন্থে বায্‌যার, হাকীম ও বায়হাকীর বর্ণনায় ইবনু উমার (রাঃ) হতে উল্লেখ করেছেন। এ কারণে মানবী তার সমালোচনা করেছেন। (কারণগুলো পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে)।

السلطان ظل من ظل الرحمن في الأرض، يأو ي إليه كل مظلوم من عباده، فإن عدل كان له الأجر، وعلى الرعية الشكر، وإن جار، أو حاف، أو ظلم كان عليه الإصر، وعلى الرعية الصبر، وإذا جارت الولاة قحطت السماء، وإذا منعت الزكاة هلكت المواشي، وإذا ظهر الربا (وفي نسخة: الزنا) ظهر الفقر والمسكنة، وإذا أخفرت الذمة أديل للكفار موضوع - أخرجه تمام في " الفوائد " (5 / 80 - 81 وفي النسخة الأخرى 5 / 49 - 50) وابن عدي في " الكامل " (175 / 1) والضياء في " المنتقى من مسموعاته بمرو" (27 / 2) من طريق سعيد بن سنان عن أبي الزاهرية عن كثير بن مرة عن عبد الله بن عمر عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: فذكره وروى طرفه الأول القضاعي في " مسند الشهاب " (ق 22 / 2) والديلمي (2 / 220) . قلت: وهذا إسناد موضوع، سعيد بن سنان هو أبو مهدي الحمصي اتهمه البخاري بقوله: " منكر الحديث ". وقال الدارقطني: " يضع الحديث ". وضعفه سائر الأئمة، وقال ابن عدي: " عامة ما يرويه غير محفوظ ". ولذلك أورده الذهبي في " الضعفاء والمتروكين " وقال: " هالك ". وقال الحافظ في " التقريب ": " متروك، ورماه الدارقطني وغيره بالوضع والحديث أورده السيوطي في " الجامع " من رواية البزار والحكيم والبيهقي عن ابن عمر. وتعقبه المناوي بقوله: " وقضية صنيع المصنف أن البيهقي خرجه وسكت عليه: والأمر بخلافه، بل تعقبه بما نصه: وأبو المهدي سعيد بن سنان ضعيف عند أهل العلم بالحديث. انتهى وسعيد بن سنان هذا ضعفه ابن معين وغيره، وقال البخاري: منكر الحديث. وساق في " الميزان " من مناكيره هذا الحديث، وجزم الحافظ العراقي بضعف سنده ". وقال الهيثمي في " مجمع الزوائد " (5 / 196) : " رواه البزار، وفيه سعيد بن سنان أبو مهدي، وهو متروك ". وأشار الحافظ المنذري في " الترغيب " (3 / 137) إلى تضعيف الحديث


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ