৩৯৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কাফির রাষ্ট্রপ্রধানদের নিকট পত্র প্রেরণ ও ইসলামের প্রতি আহবান

৩৯৩৪-[৯] কাতাদাহ সূত্রে নু’মান ইবনু মুকররিন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে জিহাদে অংশগ্রহণ করেছি। আমি তাঁকে দেখতাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের সময় হলে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ হতে বিরত থাকতেন। যখন সূর্য উদিত হয়ে যেত, তখন যুদ্ধ শুরু করতেন। আবার মধ্যাহ্ন হলে যুদ্ধ বন্ধ রাখতেন, যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ত। আবার সূর্য যখন পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ত, তখন (যুহরের সালাত আদায় করে) ’আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতেন। অতঃপর ’আসরের সালাতের জন্য বিরতি দিতেন এবং সালাত শেষে পুনরায় যুদ্ধ শুরু করতেন। (রাবী কাতাদাহ বলেন) সাহাবায়ে কিরামগণ বলতেন, সে সময় আল্লাহর পক্ষ হতে বিজয়ের বাতাস প্রবাহিত হতো। আর মু’মিনগণ তাদের সালাতে নিজেদের সৈন্যদলের জন্য দু’আ করতেন। (তিরমিযী)[1]

وَعَن قتادةَ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ أَمْسَكَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتْ قَاتَلَ فَإِذَا انْتَصَفَ النَّهَارُ أَمْسَكَ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ قَاتَلَ حَتَّى الْعَصْرِ ثُمَّ أَمْسَكَ حَتَّى يُصَلَّى الْعَصْرُ ثُمَّ يُقَاتِلُ قَالَ قَتَادَةُ: كَانَ يُقَالُ: عِنْدَ ذَلِكَ تُهِيجُ رِيَاحُ النَّصْرِ وَيَدْعُو الْمُؤْمِنُونَ لِجُيُوشِهِمْ فِي صلَاتهم. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যা: (كَانَ يُقَالُ : عِنْدَ ذٰلِكَ تَهِيجُ رِيَاحُ النَّصْرِ) বলা হয়েছে, এ সময় বিজয়ের বায়ু প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ- সাহাবীগণ বলতেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার হিকমাত এই যে, সূর্য ঢলার পর থেকে বিজয়ের বায়ু প্রবাহিত হয়। সাহাবীদের এ কথা সমর্থন করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ বাণী «نُصِرْتُ بِالصَّبَا» পূবালী বায়ু দ্বারা আমাকে সাহায্য করা হয়েছে।

(وَيَدْعُو الْمُؤْمِنُونَ لِجُيُوشِهِمْ فِىْ صلَاتِهِمْ) আর মুসলিমগণ সালাতের মধ্যে তাদের সেনাবাহিনীর বিজয়ের জন্য দু‘আ করতেন। অর্থাৎ- তারা সালাত শেষে অথবা সালাতের ভিতরেই ইসলামী বাহিনীর বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করতেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৬১২)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ কাতাদাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ