৩৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৮৯২-[১] কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবূকের যুদ্ধে বৃহস্পতিবার রওয়ানা হয়েছিলেন। মূলত তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বৃহস্পতিবার সফরে বের হওয়া পছন্দ করতেন। (বুখারী)[1]

بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ

عَن كَعْب بْنِ مَالِكٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يَوْمَ الْخَمِيسِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَخْرُجَ يَوْمَ الْخَمِيسِ. رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: (وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يَّخْرُجَ يَوْمَ الْخَمِيْسِ) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যুদ্ধের জন্য বৃহস্পতিবার রওয়ানা হওয়া পছন্দ করতেন। ‘আল্লামা তূরিবিশতী বলেনঃ যুদ্ধে রওয়ানা হওয়ার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক বৃহস্পতিবার বেছে নেয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে-

(১) এ দিনটি বরকতময় দিন। এ দিনে বান্দার ‘আমলসমূহ আল্লাহর নিকট উপস্থাপন করা হয়। আর যুদ্ধের সফর আল্লাহর পথে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। তাই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পছন্দ করতেন এ দিনে আল্লাহর নিকট তার কোনো সৎ ‘আমল উপস্থাপন করা হোক তাই তিনি বৃপস্পতিবার সফর করতেন। (২) এ দিনটি সপ্তাহের সংখ্যা পূর্ণকারী দিন। (৩) তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুন্দর নাম দ্বারা ফাল গ্রহণ করা পছন্দ করতেন।

(الْخَمِيْسُ) শব্দের অর্থ সৈন্যবাহিনী, কেননা যে বাহিনী ৫টি উপদলের সমন্বয়ে গঠিত তাকে (الْخَمِيْسِ) তথা সেনাবাহিনী বলা হয়। তাইতো তিনি এ নামটিকে উত্তম জাল হিসেবে মনে করতেন। এতে আল্লাহ তা‘আলা তাকে সংরক্ষণ করবেন এবং তার সেনাদলকে স্বীয় বেষ্টনীতে রাখবেন।

কাযী ‘ইয়ায আরো বলেন যে, خَمِيْس কে তিনি উত্তম কাল হিসেবে এজন্য গণ্য করতেন যে, এ দিনে তিনি তার শত্রু বাহিনীর ওপর বিজয় লাভ করবেন যাকে خَمِيْسِ বলা হয় অথবা এতে তিনি গনীমাতের এক-পঞ্চমাংশত তথা খুমূস অর্জনে সক্ষম হবেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহস্পতিবার সফরে বের হতে পছন্দ করতেন, এর অর্থ এটা নয় যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারেই সফর করতেন বরং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অন্য দিনেও সফর করতেন। যেমন বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোনো কোনো সফরে শনিবারেও বের হয়েছেন। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ২৯৫০; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬০২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ