৩৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - মুরতাদ এবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীকে হত্যা করা প্রসঙ্গে

৩৫৩৪-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়ার অধিকার কারো নেই। (বুখারী)[1]

بَابُ قَتْلِ أَهْلِ الرِّدَّةِ وَالسُّعَاةِ بِالْفَسَادِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن النَّارَ لَا يُعَذِّبُ بِهَا إِلَّا اللَّهُ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা : দগ্ধ করানোর বিষয়ে সালাফীগণ মতভেদ করেছেন। তন্মধ্যে ‘উমার ও ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কুফরী, যুদ্ধের সময় অথবা ক্বিসাসের ক্ষেত্রে পোড়ানোকে মাকরূহ মনে করেন।

পক্ষান্তরে ‘আলী (রাঃ), খালিদ বিন ওয়ালীদ (রাঃ) ছাড়াও অনেকেই পোড়ানো জায়িয বলেছেন।

আবুল মুযাফফার আল ইসফিরায়লী-এর সিদ্ধান্ত হলো, যাদেরকে ‘আলী পুড়িয়েছিলেন তারা ছিল রাফিযীদের একটা দল। তারা তাদের ‘আক্বীদায় অন্য ইলাহ-এর দাবী করেছিল। এদেরকে সাবাইয়্যাহ্ বলা হয়। এদের নেতা হলো ‘আবদুল্লাহ বিন সাবা।

মুহাল্লাব বলেনঃ এই নিষেধাজ্ঞা হারাম নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং এটা বিনয়সূচক নিষেধাজ্ঞা। সাহাবীদের কর্ম পোড়ানোর বৈধতার নির্দেশ করে। খালিদ বিন ওয়ালীদ মুরতাদ মানুষকে পুড়িয়েছিল।

মদীনার অধিকাংশ বিদ্বান দুর্গ ও যানবাহন পোড়ানো জায়িয বলেন। এমন মত পেশ করেন ইমাম নববী ও ইমাম আওযা‘ঈ।

আর ইবনু মুনীর এবং অন্যরা বলেনঃ পোড়ানোর বৈধতার কোনো দলীল নেই। কেননা উরানীনদের ঘটনা ছিল ক্বিসাসের অথবা তা মানসূখ হয়ে গেছে। আর সাহাবীদের বৈধতা আর এক সাহাবীর নিষেধের বিরোধী হয়ে যায়। আর দুর্গ ও যানবাহন পোড়ানোর ঘটনাটি জরুরী প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আর তা হলো শত্রুদের ওপর বিজয় লাভ করা।

আবার কেউ বলেছেন- ঘটনাস্থলে কোনো মহিলা বা কোনো শিশু ছিল না। তবে হাদীসের বাহ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করে যে, নিষেধাজ্ঞা ছিল হারাম, যা পূর্বের আলোচনায় মানসূখ হয়েছে। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩০১৬)