৩৩৮৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৮৯-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অংশীদারী মালিকানাধীন গোলামের মধ্যে স্বীয় অংশ মুক্ত করে দেয়। আর তার নিকট যদি (অপর অংশীদারদের অংশের মূল্য পরিশোধের) সম্পদ থাকে, তাহলে তার পক্ষ থেকে গোলামটি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে যাবে। আর যদি তার নিকট ধন-সম্পদ না থাকে, সেক্ষেত্রে গোলামটিকে তার সামর্থ্যানুযায়ী শ্রমে খাটানো (কাজে) লাগানো হবে, বিনিময়ে পরিশোধসাপেক্ষে মুক্ত হয়ে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِقْصًا فِي عَبْدٍ أُعْتِقَ كُلُّهُ إِنْ كَانَ لَهُ مَالٌ فَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ مَالٌ اسْتَسْعَى الْبعد غير مشقوق عَلَيْهِ»

ব্যাখ্যা: ‘উলামারা হাদীসে (اسْتَسْعٰى) এর অর্থ বলেছেন যে, দাসকে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দেয়া হবে যে দৈহিক পরিশ্রম করে অপর অংশীদারের অংশের মূল্য পরিমাণে উসূল করে নিজকে আযাদ করে নিবে। আবার কেউ বলেছেন, খিদমাত নেয়া তথা অংশের মূল্য পরিমাণ মালিকের খিদমাত বা পরিচর্যা করলে দেনা পরিশোধ হবে।
যৌথ মালিকাধীন ক্রীতদাসের কোনো একজন হয় অংশীদার নিজের অংশ আযাদ করে দেয় আর সে যদি সামর্থ্যবান হয় তাহলে ‘উলামারা এর হুকুমের ব্যাপারে মতানৈক্য করেছেন।

প্রথমতঃ এটা সহীহ শাফি‘ঈর মাযহাব। এ মতে ইবনু শুব্রম্নমাহ্, আওযা‘ঈ, ইবনু আবূ লায়লা, আবূ ইউসুফ, মুহাম্মাদ বিন হাসান এবং আহমাদ বিন হাম্বল ও কিছু মালিকীরা গেছেন যে, আযাদকারী অংশীদার অন্যান্য অংশীদারকে তাদের স্ব স্ব অংশ পরিমাণ মূল্য পরিশোধ করে গোলামটিকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে দিবে।

দ্বিতীয়তঃ মূল্য পরিশোধ না করে আযাদ করা যাবে না, এটা প্রসিদ্ধ মালিকী মাযহাব

তৃতীয়তঃ অংশীদারের ইচ্ছাধীন রয়েছে যে, ক্রীতদাসটিকে শ্রমে খাটিয়ে অংশের মূল্য পরিমাণে উসুল করে নিবে অথবা আর তার অংশটাও আযাদ করে দিবে। এটা আবূ হানীফাহ্-এর আভিমত।

চতুর্থতঃ সরকারী কোষাগার বাকী মূল্য পরিশোধ করবে- ইবনু সীরীন-এর মত। (শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫০২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ