৩৩৮৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - অংশীদারী গোলাম মুক্তি করা ও নিকটাত্মীয়কে ক্রয় করা এবং অসুস্থাবস্থায় গোলাম মুক্তি করা

৩৩৮৮-[১] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোনো অংশীদারী মালিকানাধীন গোলামের মধ্যে স্বীয় অংশ মুক্ত করল, (তার পক্ষে এটাই সর্বোত্তম) যদি তার নিকট কোনো ন্যায়পরায়ণ লোকের নিরূপিত মূল্য অনুযায়ী গোলামটির সমপরিমাণ মূল্য থাকে, তখন সে অপর অংশীদারদেরকে তাদের অংশের মূল্য পরিশোধ করে গোলামটি (তার পক্ষ থেকে) মুক্ত করে দিবে। অন্যথায় সে যতটুকু অংশ মুক্ত করেছে ততটুকু অংশই মুক্ত বলে পরিগণিত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ إِعْتَاقِ الْعَبْدِ الْمُشْتَرَكِ وَشِرَاءِ الْقَرِيْبِ وَالْعِتْقِ فِى الْمَرَضِ

عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَعْتَقَ شِرْكًا لَهُ فِي عَبْدٍ وَكَانَ لَهُ مَالٌ يَبْلُغُ ثَمَنَ الْعَبْدِ قُوِّمَ الْعَبْدُ قِيمَةَ عَدْلٍ فَأُعْطِيَ شُرَكَاؤُهُ حِصَصَهُمْ وَعَتَقَ عَلَيْهِ الْعَبْدُ وَإِلَّا فَقَدْ عَتَقَ مِنْهُ مَا عَتَقَ»

ব্যাখ্যা: (فَأُعْطِىَ شُرَكَاؤُه) যদি অংশীদার থাকে তাহলে সকল অংশীদারকে তাদের স্ব স্ব অংশ মূল্য পরিশোধ করবে। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫২২)

ইমাম নববী (রহঃ) বলেনঃ যৌথ মালিকানাধীন ক্রীতদাসের কোনো একজন অংশীদার তার নিজের অংশ আযাদ করে দিলে ক্রীতদাসকে পুরোপুরি মুক্তি দানকারীও ঐ ব্যক্তির ওপর দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায় যদি তার জন্য সহজ হয়, চাই ক্রীতদাসটি মুসলিম হোক বা কাফির হোক আর অংশীদাররাও মুসলিম হোক বা কাফির হোক। কারও কোনো স্বাধীনতা থাকবে না, চাই অংশীদার হোক বা দাস হোক বা আযাদকারী হোক, এক্ষেত্রে বরং আযাদ করাটাই সাব্যস্ত হবে যদিও সবাই তা অপছন্দ করে স্বাধীনতা হওয়ার সৃষ্টিতে আল্লাহর অধিকারের প্রতি দৃষ্টি রাখে।

ইবনু হুমাম বলেনঃ যখন কোনো ক্রীতদাস দু’জন যৌথ মালিকানাধীনের অধীনে থাকবে তাদের দু’জনের একজন যদি তার অংশকে আযাদ করে দেয় তাহলে ক্রীতদাসের দাসত্বের শৃঙ্খলা মুছে যাবে। আর যদি আযাদকারীর শরীক কোনো এক শারীকানা মালিক সামর্থ্যবান হন তাহলে অপর অংশীদারের স্বাধীনতা রয়েছে সেও তার অংশ আযাদ করে দিবে অথবা ক্রীতদাসকে শ্রমে খাটিয়ে তার অংশের মূল্য পরিমাণ উসূল করে নিবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)