৩০০৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

৩০০৫-[১৫] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’মাহ্যূর’ নামক ময়দানের পানির ব্যাপারে ফায়সালা দিয়েছেন- তা ততক্ষণ পর্যন্ত আটকে রাখা যাবে, যতক্ষণ না তা পায়ের ছোট গিরা পর্যন্ত পৌঁছে। অতঃপর উপরের ব্যক্তি নিচের ব্যক্তির জন্য ছেড়ে দেবে। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى فِي السَّيْلِ الْمَهْزُورِ أَنْ يُمْسَكَ حَتَّى يَبْلُغَ الْكَعْبَيْنِ ثُمَّ يُرْسَلَ الْأَعْلَى عَلَى الْأَسْفَل. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যা: (حَتّٰى يَبْلُغَ) অর্থাৎ- পানি। এ হাদীস এবং এর পূর্বে যে হাদীস আছে তাতে আছে উঁচু জমির মালিক তার অপেক্ষা নিম্নবর্তী জমির পূর্বে নিজ জমিকে স্রোত এবং কূপের পানি দ্বারা সিক্ত করার অধিকার রাখে। পানি যতক্ষণ পর্যন্ত টাখনুদ্বয় পর্যন্ত না পৌঁছবে ততক্ষণ পর্যন্ত উঁচু জমির মালিক পানি আটকিয়ে রাখবে।

ইবনুত্ তীন বলেন, যতক্ষণ টাখনুদ্বয় পর্যন্ত পানি না পৌঁছবে ততক্ষণ পর্যন্ত উঁচু জমির মালিক পানি আটকিয়ে রাখবে। জুমহূর ‘উলালামাদের এটাই অভিমত। ইবনু কিনানাহ্ একে খেজুর বাগান ও বৃক্ষের সাথে নির্দিষ্ট করেছেন। তিনি বলেন, পক্ষান্তরে শস্যের ক্ষেত্রে জুতার ফিতা পর্যন্ত।

ত্ববারী বলেনঃ ভূমি বিভিন্ন ধরনের। সুতরাং প্রত্যেক ভূমির জন্য ঐ পরিমাণ পানি জমিয়ে রাখতে হবে যা ঐ জমির জন্য যথেষ্ট হবে। নায়লুল আওত্বারে এভাবেই উল্লেখ আছে। [কানযুল উম্মাল দ্রষ্টব্য] (আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৬৩৬)