৩০০১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

৩০০১-[১১] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন প্রকার জিনিসে সকল মুসলিম অংশীদার; আর তা হলো পানি, ঘাস ও আগুন। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمُسْلِمُونَ شُرَكَاءُ فِي ثَلَاث: الْمَاءِ وَالْكَلَأِ وَالنَّارِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَه

ব্যাখ্যা: (فى الْمَاءِ) অর্থাৎ- ঐ পানি যা কারো অনুসন্ধান এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন হয়নি, যেমন খাল এবং কূপের পানি এবং নদী হতে গ্রহণ করে কোনো পাত্রে অথবা পুকুর এবং নালাতে সংরক্ষণ করা হয়নি।

(الْكَلَأِ) ভিজা এবং শুকনা তৃণলতা। খত্ত্বাবী বলেনঃ এর অর্থ হলো ঐ ঘাস যা অনাবাদী ভূখণ্ডে উৎপন্ন হয় এবং জনগণ পশু চড়ায়, তা কাউকে বাদ দিয়ে কারো জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া বৈধ নয়। আর ঘাস যখন কোনো ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট মালিকানাভুক্ত জমিতে উৎপন্ন হবে তখন তা ঐ ব্যক্তির জন্য নির্দিষ্ট সম্পদ, তার অনুমতি ছাড়া অন্য কারো তার সম্পদে অংশীদার হওয়ার অধিকার নেই।

(وَالنَّارِ) আগুনে অংশীদার হওয়া থেকে উদ্দেশ্য হলো- সে আগুন হতে প্রদীপ জ্বালাতে, তার আলো দ্বারা আলো গ্রহণ করতে কাউকে নিষেধ করা যাবে না, তবে আগুন প্রজ্জ্বলনকারীর এ অধিকার আছে যে, সে আগুন হতে অগ্নিশিখা গ্রহণ করতে কউকে বাধা দিবে। কেননা তা আগুনকে কমিয়ে দেয় এবং আগুনকে নিভিয়ে দেয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়। একমতে বলা হয়েছে, আগুন দ্বারা ঐ পাথর উদ্দেশ্য যা দ্বারা আগুন জ্বালানো হয়। যখন এ পাথর কোনো অনাবাদী ভূখণ্ডে হবে তখন তা হতে কিছু গ্রহণ করতে কাউকে বাধা দেয়া যাবে না।

সিনদী বলেনঃ এক সম্প্রদায় এ হাদীসের বাহ্যিক অর্থ গ্রহণ করেছে। অতঃপর তারা বলেছে যে, এ তিনটি বিষয়ে কারো মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না এবং সাধারণভাবে এগুলো বিক্রি করাও বৈধ হবে না। বিদ্বানদের মাঝে প্রসিদ্ধ যে, (الْكَلَأِ) তথা ঘাস দ্বারা ঐ বৈধ ঘাস যা কারো সাথে নির্দিষ্ট নয়। আর (الْمَاءِ) তথা পানি দ্বারা আকাশ, ঝর্ণা এবং নদীসমূহের পানি, যার মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। আর (وَالنَّارِ) তথা আগুন দ্বারা ঐ বৃক্ষ উদ্দেশ্য মানুষ যাকে বৈধভাবে লাকড়ী স্বরূপ গ্রহণ করে, অতঃপর তা দ্বারা আগুন জ্বালায়। আর এ পানি যখন মানুষ তার পাত্রে, তার মালিকানায় সংরক্ষণ করবে তখন তা বিক্রি করা বৈধ হবে না। এভাবে অন্যান্য বস্তু। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৪৭৪)