লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ
৪৭৮৷ হজ্জ অথবা উমরাকারী অথবা আল্লাহর পথের যুদ্ধকারী ছাড়া কেউ সমুদ্রে ভ্রমণ করবে না। কারণ সমুদ্রের নিচে রয়েছে আগুন আর আগুনের নিচে রয়েছে সমুদ্র।
হাদীসটি মুনকার।
এটি আবু দাউদ (১/৩৮৯), আল-খাতীব “আত-তালখীস” গ্রন্থে (১/৭৮) এবং তার থেকে বাইহাকী (৪/৩৩৪) বিশর আবু আবদিল্লাহ সূত্রে বাশীর ইবনু মুসলিম হতে ... বর্ণনা করেছেন। অতঃপর আল-খাতীব বলেনঃ আহমাদ বলেছেনঃ হাদীসটি গারীব।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদ দুর্বল। তাতে জাহালাত [অপরিচিত বর্ণনাকারী] রয়েছে এবং ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে।
যাহালাত; হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব" গ্রন্থে বিশর এবং বাশীরের জীবনীতে বলেছেনঃ তারা দু’জন মাজহুল অপরিচিত। অনুরূপ এসেছে “আল-মীযান" গ্রন্থেও৷ বিশরের মুতাবা’আত করেছেন মাতরাফ ইবনু তুরাইফ বাশীর ইবনু মুসলিম হতে। যেটি বুখারী "আত-তারীখ" গ্রন্থে (১/২/১০৪) এবং আবূ উসমান আন নুজায়রেমী “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (২/৫/১) বর্ণনা করেছেন। কিন্তু বাশীর জাহালাত হতে নিরাপদ হননি। যার জন্য ইমাম বুখারী পরক্ষণেই বলেছেনঃ তার হাদীসটি সহীহ নয়।
ইযতিরাব; সেটি মুনযেরী “মুখতাসারুস সুনান” গ্রন্থে (৩/৩৫৯) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ হাদীসটিতে ইযতিরাব সংঘটিত হয়েছে। ইমাম বুখারী তার “আত-তারীখ” গ্রন্থে তাকে (মাতরাফকে) উল্লেখ করে তার এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। তার ইযতিরাবও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন তার হাদীসটি সহীহ নয়। খাত্তাবী বলেনঃ মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটির সনদকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। ইবনু মুলাক্কান "আল-খুলাসা" গ্রন্থে (১/৭৩) বলেনঃ হাদীসটি ইমামদের ঐক্যমতে দুর্বল। বুখারী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ্ নয়। আহমাদ বলেনঃ হাদীসটি গারীব। আবু দাউদ বলেনঃ হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ মাজহুল। খাত্তাবী বলেনঃ হাদীসটির সনদকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল বলেছেন। আব্দুল হক (২/২০৭) বলেনঃ আবু দাউদ বলেছেনঃ এ হাদীসটি নিতান্তই দুর্বল। বিশর এবং বাশীর দু’জনই মাজহুল।
لا يركب البحر إلا حاج أو معتمر أو غاز في سبيل الله، فإن تحت البحر نارا وتحت النار بحرا منكر - أخرجه أبو داود (1 / 389) والخطيب في " التلخيص " (78 / 1) وعنه البيهقي (4 / 334) من طريق بشر أبي عبد الله عن بشير بن مسلم عن عبد الله بن عمرو مرفوعا، وقال الخطيب: قال أحمد: حديث غريب قلت: وهذا سند ضعيف فيه جهالة واضطراب أما الجهالة فقال الحافظ في ترجمة بشر وبشير من التقريب: مجهولان، ونحوه في " الميزان " نعم تابعه مطرف بن طريف عن بشير بن مسلم عند البخاري في " التاريخ " (1 / 2 / 104) وأبي عثمان النجيرمي في " الفوائد " (2 / 5 / 1) لكنه لم يسلم من جهالة بشير ولذلك قال البخاري عقبه: ولم يصح حديثه وأما الاضطراب فقد بينه المنذري في " مختصر السنن " (3 / 359) فقال: في الحديث اضطراب، روي عن بشير هكذا، وروي عنه أنه بلغه عن عبد الله بن عمرو، وروى عنه عن رجل عن عبد الله بن عمرو، وقيل غير ذلك، وذكره البخاري في " تاريخه "، وذكر له هذا الحديث، وذكر اضطرابه وقال: لم يصح حديثه، وقال الخطابي: وقد ضعفوا إسناد هذا الحديث. قلت: وقال ابن الملقن في " الخلاصة " (73 / 1) : وهو ضعيف باتفاق الأئمة، قال البخاري: ليس بصحيح، وقال أحمد: غريب، وقال أبو داود: رواته مجهولون، وقال الخطابي: ضعفوا إسناده، وقال صاحب " الإمام ": اختلف في إسناده، وقال عبد الحق (207 / 2) : قال أبو داود: هذا حديث ضعيف جدا، بشر أبو عبد الله وبشير مجهولان. ولا يقويه أنه روى الشطر الأول منه من حديث أبي بكر بلفظ (الأتي)