২৪৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দু‘আসমূহ

২৪৯৮-[১৭] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করে বলতেন,

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ’ইলমান না-ফি’আন ওয়া ’আমলান মুতাকব্বালান ওয়া রিযকন ত্বইয়্যিবা-’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারী জ্ঞান, কবূলযোগ্য ’আমল ও হালাল রিযক চাই)। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী- দা’ওয়াতুল কাবীর)[1]

وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ صَلَاةِ الْفَجْرِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا وَرِزْقًا طَيِّبًا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيّ فِي الدَّعوات الْكَبِير

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাতের সালাম ফিরানোর পরে এ দু‘আ করতেন যে, হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান; যে জ্ঞান অনুযায়ী করা ‘আমল আখিরাতে আমার পক্ষে দলীল হবে; বিপক্ষে নয়, এমন জ্ঞান কামনা করছি এবং এমন ‘আমল করার শক্তি চাচ্ছি যে, ‘আমল ইখলাসপূর্ণ হবে এবং তোমার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে এবং হালাল রিযক চাই, যে রিযক শক্তি যোগাবে এবং তোমার আনুগত্যমূলক কাজে সহায়ক হবে।

ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ জ্ঞানকে উপকারের সাথে, রিযককে হালাল হওয়ার সাথে এবং ‘আমলকে মাকবূল হওয়ার সাথে শর্তযুক্ত করা হয়েছে এজন্য যে, যে জ্ঞান উপকারে আসে না সে জ্ঞান আখিরাতের কোন কাজে আসবে না। কখনো কখনো এ অনুপকারী জ্ঞান দুর্ভাগ্যের কারণ হয়। এজন্যই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুপকারী জ্ঞান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চেয়েছেন। আর প্রত্যেক হালাল নয় এমন রিযক শাস্তির মুখোমুখি করবে এবং আল্লাহর নিকট মাকবূল নয় এমন ‘আমল করে শুধু আত্মাকেই কষ্ট দেয়া হয়, শেষ পর্যন্ত তা উপকারে আসে না।

এ হাদীস দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, ফরয সালাতের সালামের পরে দু‘আ করা শারী‘আহ্ সম্মত।