১৪২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত

১৪২৫-[৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার (জিহাদ করার লক্ষ্যে) যাজনান ও ’উসফান নামক স্থানের মধ্যবর্তী স্থানে উপস্থিত হলেন। মুশরিকরা তখন বলাবলি করল। এ মুসলিম সম্প্রদায়ের এক সালাত আছে, যে সালাত তাদের নিকট তাদের মাতা-পিতা ও সন্তান-সন্তুতি হতেও অধিক প্রিয়। আর সে সালাতটা হলো ’আসরের সালাত। তাই তোমরা দলবদ্ধ হও। এ ’আসরের সালাত আদায়ের সময় তাদের ওপর আক্রমণ করো। ঠিক এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিবরীল (আঃ) আসলেন। তাকে হুকুম দিলেন। তিনি যেন তার সাথীদেরকে দু’ভাগে ভাগ করেন। একদলকে নিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করবেন। আর অপর দলটি তাঁদের অপর দিকে শত্রুর মুকাবিলায় দাঁড়িয়ে থাকবেন অটুটভাবে। এমনকি সালাতেও যেন তারা সম্ভাব্য সতর্কতা ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকে। এতে তাদের সালাতও এক রাক্’আত হয়ে যাবে। আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হবে দু’ রাক্’আত। (তিরমিযী, নাসায়ী)[1]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ بَيْنَ ضَجْنَانَ وَعُسْفَانَ فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: لِهَؤُلَاءِ صَلَاةٌ هِيَ أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ آبَائِهِمْ وَأَبْنَائِهِمْ وَهِيَ الْعَصْرُ فَأَجْمِعُوا أَمْرَكُمْ فَتَمِيلُوا عَلَيْهِمْ مَيْلَةً وَاحِدَةً وَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَقْسِمَ أَصْحَابَهُ شَطْرَيْنِ فَيُصَلِّيَ بِهِمْ وَتَقُومَ طَائِفَةٌ أُخْرَى وَرَاءَهُمْ وَلْيَأْخُذُوا حِذْرَهُمْ وَأَسْلِحَتَهُمْ فَتَكُونَ لَهُمْ رَكْعَةٌ وَلِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَكْعَتَانِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ

ব্যাখ্যা: (نَزَلَ بَيْنَ ضَجْنَانَ وَعُسْفَانَ) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (জিহাদের উদ্দেশে) যাজনান ও ‘উসফান নামক স্থানের মধ্যবর্তী স্থলে উপস্থিত হলেন। যাজনান হল মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থান বা পাহাড়ের নাম। ‘উসফান হল মক্কা হতে দু’ মনযীল দূরে।

(فَتَكُوْنَ لَهُمْ رَكْعَةٌ وَلِرَسُولِ اللّهِ ﷺ رَكْعَتَانِ) এতে তাদের এক রাক্‘আত হবে আর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু’ রাক্‘আত হবে। তিরমীযী ও নাসায়ীতে এভাবে এসেছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে তাদের এক রাক্‘আত হবে। আর অবশিষ্ট রাক্‘আত তারা একা একা আদায় করে নেবে। অথবা তাদের সর্বসাকুল্যে এক রাক্‘আতই হবে। কেননা এটা ভয়কালীন সালাতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ