১২৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৪৫-[৫] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা অবস্থায় ঝিমাতে শুরু করে তবে সে যেন ঘুমিয়ে পড়ে, ঘুম দূর না হওয়া পর্যন্ত। কারণ তোমাদের কেউ যখন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে (ঘুমের কারণে) সে জানতে পারে না (সে কি পড়ছে)। হতে পারে সে আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করতে গিয়ে (ঝিমানীর কারণে নিজে) নিজেকে গালি দিচ্ছে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا نَعَسَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ يُصَلِّي فَلْيَرْقُدْ حَتَّى يَذْهَبَ عَنْهُ النَّوْمُ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا صَلَّى وَهُوَ نَاعِسٌ لَا يدْرِي لَعَلَّه يسْتَغْفر فيسب نَفسه»

ব্যাখ্যা: পূর্বে এ জাতীয় অবস্থার ব্যাখ্যা কিঞ্চিৎ অতিবাহিত হয়েছে। সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অবস্থায় তন্দ্রা অথবা ঝিমুনী আসলে সালাত ত্যাগ করে নিদ্রা দূর না হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকবে। কেননা ঝিমুনী, তন্দ্রা ইত্যাদি অবস্থায় মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা থাকে না। এ অবস্থায় সালাত আদায় করতে হয়তো সে নিজের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে কিন্তু নিজের অজান্তে সেটা তার মুখ থেকে বদ্দু‘আর শব্দ বেরিয়ে আসছে। এ বিধান কি সকল সালাতের জন্যই প্রযোজ্য নাকি রাতের নফল বা তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য? এ প্রশ্নে ইমাম মালিকসহ একদল ‘আলিমের মতে এটা রাতের নফল সালাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কিন্তু জমহূরের মত তার বিপরীত। হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, হাদীসটি বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ সালাতকে কেন্দ্র করে এসেছে কিন্তু এর শিক্ষা ও হুকুম সর্বজনীন। সুতরাং এটা ফরয এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, তবে সময়ের মধ্যেই তা আদায় করে নিতে হবে। এ হাদীস থেকে আরো প্রমাণিত যে, তন্দ্রা ও ঝিমুনীর দ্বারা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ও সালাত কোন কিছুই ভেঙ্গে যায় না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ