১২৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৪৪-[৪] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কারো উচিত ততক্ষণ পর্যন্ত সালাত আদায় করা যতক্ষণ সে প্রফুল্ল বা সতেজ থাকে। ক্লান্ত হয়ে গেলে সে যেন বসে যায় (অর্থাৎ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় না করে)। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِيُصَلِّ أَحَدُكُمْ نَشَاطَهُ وَإِذَا فَتَرَ فَلْيَقْعُدْ)

وعن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليصل احدكم نشاطه واذا فتر فليقعد

ব্যাখ্যা: ইতিপূর্বেও আলোচনা হয়েছে, ‘ইবাদাত প্রফুল্লচিত্তে সম্পাদন করতে হবে। ‘ইবাদাতের মধ্যে বিশেষ করে সালাতের মধ্যে অলসতা, দুর্বলতা অথবা ক্লেশ ক্লান্তি আসলে ঐ অবস্থায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সম্পাদন করা মোটেও উচিত নয়। দাঁড়িয়ে সালাত আদায় রত অবস্থায় যদি এরূপ দুর্বলতা এসে যায় তবে বাকী সালাতটুকু বসে আদায় করবে। আর যদি সালাম ফিরানোর পর এ অবস্থা দেখা দেয় তাহলে বাকী রাক্‘আতগুলোর জন্য আর দাঁড়াবে না। পারলে বসেই আদায় করবে, না পারলে বিরত থাকবে। সালাত শুরু করার পর মাঝ সালাতে যদি এ অবস্থার সৃষ্টি হয় তাহলে এ নফল সালাতের ক্ষেত্রে বাকী সালাতটুকু ছেড়ে দিবে। ইমাম মালিক (রহঃ) অবশ্য এই ছেড়ে দেয়ার পক্ষপাতি নন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)