১২৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - ‘আমলে ভারসাম্য বজায় রাখা

১২৪৩-[৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যত পরিমাণ তোমরা সমর্থ রাখো তত পরিমাণ ’আমল করো। এজন্য আল্লাহ তা’আলা সাওয়াব দিতে ক্লান্ত হন না, যতক্ষণ তোমরা ক্লান্ত না হবে। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذُوا مِنَ الْأَعْمَالِ مَا تُطِيقُونَ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يمل حَتَّى تملوا»

ব্যাখ্যা: সালাতসহ সকল প্রকার নেক ‘আমল সাধ্য মোতাবেক করতে হবে। পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সহীহ মুসলিমে উম্মুল মু’মিনীন ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাওলা নাম্নী এক মহিলা ‘আয়িশার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন, এ সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকটেই ছিলেন। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি তখন বললাম এই যে হাওলা, লোকেরা মনে করে সে রাতে ঘুমায় না, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রাতে ঘুমায় না! অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারই শানে এ হাদীসটি বর্ণনা করলেন। হাদীসটি শুধু রাতের ‘ইবাদাত সালাতের ক্ষেত্রে বর্ণিত হলেও সকল ‘ইবাদাতেই এর বিধান ও হুকুম প্রযোজ্য। এতে নারী পুরুষেরও কোন ভেদাভেদ নেই।

‘ইবাদাত কম হলেও সেটি প্রফুল্লচিত্তে এবং সাধ্যের মধ্যে থেকে করতে হবে। সর্বোপরি তা সর্বদা করতে হবে। কষ্ট ক্লেশ করে বিরক্তির সাথে ‘ইবাদাত করা উচিত নয়। আল্লাহ তা‘আলা তো বেশি বেশি ‘ইবাদাতকারীর সাওয়াব দিতে ক্লান্তও হবেন না বিরক্তও হবেন না, কিন্তু এমনটি যেন না হয় যে, বান্দাই শেষে ক্লান্ত বিরক্ত হয়ে ‘ইবাদাত ছেড়ে নিষ্ক্রান্ত হয়ে পড়ে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ