১২১৩

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন

১২১৩-[৩] ’উবাদাহ্ ইবনুস সামিত (রাঃ)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে লোক রাত্রে ঘুম থেকে জেগে এ দু’আ পাঠ করবেঃ

’’লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুওয়া ’আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার, ওয়ালা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’

(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। আল্লাহ তা’আলা পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত গুনাহ হতে বাঁচার ও সৎকার্য করার ক্ষমতা কারো নেই।)।

তারপর বলবে, ’’রব্বিগ্ ফিরলী’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর) অথবা বললেন, পুনরায় দু’আ পাঠ করবে। তার দু’আ কবূল করা হবে। তারপর যদি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে ও সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে, তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কবূল করা হবে। (বুখারী)[1]

بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ

وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ: رَبِّ اغْفِرْ لِي أَوْ قَالَ: ثمَّ دَعَا استيجيب لَهُ فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلَاتُهُ رَوَاهُ البُخَارِيّ

ব্যাখ্যা: (تَعَارَّ) বলা হয় রাত্রিতে নিদ্রা থেকে জেগে ওঠাকে। কেউ কেউ বলেছেন এর অর্থঃ শব্দসহ জেগে ওঠা। বলা হয় সে ভয়ে শব্দ করে (চিৎকার করে) ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। এ ‘শব্দ’ আল্লাহর নামের যিকিরের (জিকিরের) শব্দও হতে পারে। ‘লাহুল মুল্‌ক ওয়ালাহুল হাম্‌দ’ এর সাথে আবূ নু‘আয়ম-এর বর্ণনায় ‘ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু’ বেশি রয়েছে। ‘সুবহা-নাল্ল-হ ওয়াল হাম্‌দু লিল্লা-হ’ বা তাহমীদকে পরে আনা হয়েছে, এটা প্রায় সকল নুসখা বা সংকলনেই, এমনকি তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ প্রভৃতি গ্রন্থে এভাবেই এসেছে। তবে বুখারীতে ‘হাম্‌দ’ বা ‘আলহাম্‌দুলিল্লা-হ’ শব্দটি ‘সুবহা-নাল্ল-হ’ এর আগে ব্যবহার হয়েছে। এ কথা আল্লামা জাযারী উল্লেখ করেছেন, কিন্তু ইসমা‘ঈলী সংকলনে বিষয়টি এর বিপরীত। ‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা’র সাথে নাসায়ী এবং ইবনু মাজাহ গ্রন্থে ‘‘আলি‘উল ‘আযীম’’ অতিরিক্ত সংযুক্ত আছে। এর পরে বলবেঃ ‘রব্বিগফিরলী’ মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, কোন কোন সংকলনে ‘আল্ল-হুম্মাগফিরলী’ রয়েছে। সহীহ বুখারীতে আছে ‘আল্ল-হুম্মাগফিরলী আও দা‘আ’। সে দু‘আ করলে কবূল করা হয়’ এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দু‘আ কবূলের ইয়াক্বীন হওয়া, কারণ কবূলের সম্ভাবনা তো সকল দু‘আতেই থাকে। কেউ কেউ বলেছেন, এ সময় দু‘আ কবূলের যেমন দৃঢ় আশা থাকে সালাত কবূলের আশাও অনুরূপই থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ