১২১২

পরিচ্ছেদঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাতে যা পড়তেন

১২১২-[২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে তাহাজ্জুদের জন্যে দাঁড়িয়ে প্রথমতঃ এ দু’আ পাঠ করতেন,

’’আল্ল-হুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা, ওয়া ইসরা-ফীলা, ফাত্বিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, ’আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ্ শাহা-দাতি, আনতা তাহকুমু বায়না ’ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূন, ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হকক্বি বিইযনিকা, ইন্নাকা তাহদী মান তাশা-উ ইলা- সিরাত্বিম মুসতাক্বীম।’’

অর্থাৎ ’’হে আল্লাহ! হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব, হে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, হে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য জ্ঞানের অধিকারী! তুমিই তোমার বান্দাদের মতপার্থক্য ফায়সালা করে দিবে। হে আল্লাহ! সত্যের সম্পর্কে যে ইখতিলাফ করা হচ্ছে, এ সম্পর্কে আমাকে সরল সঠিক পথ দেখাও। কারণ তুমি যাকে চাও, সরল পথ দেখাও।’’ (মুসলিম)[1]

بَابُ مَا يَقُوْلُ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ

وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ افْتَتَحَ صَلَاتَهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن عاىشة قالت كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا قام من الليل افتتح صلاته فقال اللهم رب جبريل وميكاىيل واسرافيل فاطر السماوات والارض عالم الغيب والشهادة انت تحكم بين عبادك فيما كانوا فيه يختلفون اهدني لما اختلف فيه من الحق باذنك انك تهدي من تشاء الى صراط مستقيم رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এটা তাহাজ্জুদ সালাতের কথা বলা হয়েছে। দু‘আর মধ্যে তিনজন মালাকের (ফেরেশতার) নাম নেয়া হয়েছে বিশেষ সম্মান ও মর্যাদার কারণে অন্যথায় সকল মালাকের রবই আল্লাহ, এমনকি প্রত্যেক বস্তুরই। এটা আল্লাহর গুণ বর্ণনার স্থান আর গুণ এভাবে বর্ণনা হয়ে থাকে। কুরআন হাদীসে এরূপ খাস ও বিশেষ মর্যাদাবান ব্যক্তিদের নাম নেয়ার ভুরিভুরি প্রমাণ রয়েছে, যেমনঃ ‘রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আর্‌য, রব্বুল ‘আরশিল কারীম’ ইত্যাদি। ‘ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আর্‌য ‘আ-লিমুল গায়বি ওয়াশ্ শাহা-দাহ্’ এর অর্থ হলো তিনি বিনা দৃষ্টান্তে এগুলোর আবিষ্কারক ও উদ্ভাবক এবং সকলের কাছে যা দৃশ্যমান তা এবং দৃশ্যমান নয় তাও তিনিই সৃষ্টি করেছেন। ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন তুমি দীনের ব্যাপারে তোমার বান্দার হক বাতিলের বিচার সাওয়াব ও শান্তি দ্বারা সম্পাদন করবে। ‘আমাকে হিদায়াত দাও’ এর অর্থ হলো, আমার হিদায়াত বর্ধিত করে দাও এবং হিদায়াতের উপর আমাকে অবিচল রাখ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)