৬২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতের ফযীলত

এ অধ্যায়ে সালাতের ফাযীলাত সংক্রান্ত আলোচনা এসেছে। ইবনে হাজার বলেন, ফাযা-য়িলিস সলা-হ্ এর অর্থ হলো, যে সকল বিষয় সালাতের সাওয়াবকে পূর্ণতা দান করে।


৬২৪-[১] ’উমারাহ্ ইবনু রুআয়বাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ এমন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না, যে সূর্য উঠার ও ডোবার আগে সালাত আদায় করেছে, অর্থাৎ- ফাজর (ফজর) ও ’আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। (মুসলিম)[1]

بَابُ فَضَائِلِ الصَّلَاةِ

عَن عمَارَة بن روبية قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَنْ يَلِجَ النَّارَ أَحَدٌ صَلَّى قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ غُرُوبِهَا» يَعْنِي الْفَجْرَ وَالْعصر. (رَوَاهُ مُسلم)

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি ফাজর (ফজর) ও ‘আসরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) নিয়মিত আদায় করবে সে কখনো জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে না। এ দু’ ওয়াক্ত সালাতকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এজন্য যে, ফাজরের (ফজরের) সময়ে মানুষ ঘুমিয়ে আরামে কাটায়, এ সময়ে ঘুম বা আরাম থেকে উঠে সালাত আদায় করা অন্য যে কোন সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি কঠিন। আর ‘আসরের সালাতের সময় মানুষ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাস্ত থাকে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য জমে ওঠে। এমন অবস্থায় পূর্ণ দীনদার ব্যক্তি ব্যতীত অন্যকে এসব থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে বা অমনোযোগী হতে পারবে? এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘সে সব লোক, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ হতে এবং সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম ও যাকাত প্রদান হতে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে যেদিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি কি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’’- (সূরাহ্ আন্ নূর ২৪ : ৩৭)। যখন পরিত্যাগ করে এ দু’ ওয়াক্ত সালাত যথাযথভাবে আদায় করে তাহলে সে অন্য সালাতগুলোও স্বাভাবিকভাবেই বেশী সংরক্ষণ করবে। তাছাড়া এ দু’ ওয়াক্তে রাতের এবং দিনের মালায়িকাহ্ (ফেরেশতাগণ) পৃথিবীতে উপস্থিত থাকেন আর আল্লাহর নিকট বান্দাদের ‘আমলসমূহ উঠিয়ে নিয়ে যান। মোটকথা যে ব্যক্তি ফাজর (ফজর) ও ‘আসরের সালাত নিয়মিত আদায় করবে সে মূলত কখনো জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে না। এ সালাত গুনাহ মোচনকারী বিধায় সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ