পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহ সম্পদকে আদম সন্তানের জন্য সবুজ-শ্যামল ও সুমিষ্ট করে দিয়েছেন
৩২১০. হাকিম বিন হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিছু চাইলে তিনি আমাকে কিছু প্রদান করেন। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবার কিছু চাই, তিনি আমাকে কিছু প্রদান করেন। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবার কিছু চাই, তিনি আমাকে কিছু প্রদান করেন। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবার কিছু চাই, তিনি আমাকে আবার কিছু প্রদান করেন। তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আবার কিছু চাই, তিনি আমাকে আবার কিছু প্রদান করেন। তারপর তিনি বলেন, “হে হাকিম বিন হিযাম, নিশ্চয়ই এই সম্পদ সবুজ-শ্যামল, সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা নির্লোভ মনে গ্রহণ করে, তার জন্য তাতে বারাকাহ দেওয়া হয় আর যে ব্যক্তি তা লোভাতূর মনে গ্রহণ করবে, তার জন্য তাতে বারাকাহ দেওয়া হয় না এবং সে ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির মতো, যে খায় কিন্তু পরিতৃপ্ত হয় না। আর উঁচু হাত নিচু হাত অপেক্ষা উত্তম।”
হাকিম বিন হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে হক সহ পাঠিয়েছেন, আপনার পর দুনিয়া ত্যাগ করা পর্যন্ত আমি আর কারো কাছে কোন কিছু চাইবো না।
উরওয়া ও সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, “পরবর্তীতে আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে হাকিম বিন হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে ডেকে ভাতা দান করতে চাইতেন, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। তারপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে ভাতা দান করতে চান, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, “হে মুসলিম সম্প্রদায়, নিশ্চয়ই আমি হাকিম বিন হিযামের ব্যাপারে তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তার কাছে ফাইয়ের (কাফেরদের থেকে যুদ্ধবিহীন প্রাপ্ত) মাল তার কাছে পেশ করেছি, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।”
রাবী বলেন, “অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পর তিনি মৃত্যু অবধি আর কারো কাছে কোন কিছু চাননি।”[1]
ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا جَعَلَ الْأَمْوَالَ حُلوة خَضِرَةٌ لِأَوْلَادِ آدَمَ
3210 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَلْمٍ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ وَسَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ حَدَّثَاهُ أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ: سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (يَا حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ إِنَّ هَذَا الْمَالَ حُلْوَةٌ خَضِرَةٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى) قَالَ حكيم: فقلت: يارسول اللَّهِ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا. قَالَ عُرْوَةُ وَسَعِيدٌ: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَدْعُو حَكِيمًا فيُعطيه الْعَطَاءَ فَيَأْبَى ثُمَّ كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يعطيه فيأبى فيقول عمر: إني أشهدكم يامعشر الْمُسْلِمِينَ عَلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ أَنِّي أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِي قُسِمَ لَهُ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ فَيَأْبَى يَأْخُذُهُ قَالَ: فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حتى توفي الراوي : حَكِيم بْن حِزَامٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 3210 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((أحاديث البيوع)): ق.