হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৫৯৮

পরিচ্ছেদঃ মুসল্লী ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব হলো তাহাজ্জুদ সালাতের কিয়াম দীর্ঘ করা, কেননা উত্তম সালাত হলো ঐ সালাত যাতে কিয়াম দীর্ঘ করা হয়

২৫৯৮. আবূ ওয়াইল থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একদিন আমরা ফজরের সালাত আদায় করার পর আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গমন করি। অতঃপর আমরা তার দরজার কাছে সালাম দেই। তিনি আমাদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেন। তারপর আমরা কিছুক্ষন অপেক্ষা করি। অতঃপর বাড়ির খাদেম এসে বললো, “আপনারা কি প্রবেশ করবেন না?”  রাবী বলেন, “অতঃপর আমরা বাড়িতে প্রবেশ করি এবং আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বসে তাসবীহ পাঠ করতে দেখতে পাই। তিনি আমাদের বলেন, “কী ব্যাপার, তোমাদের অনুমতি দেওয়ার পরও কীসে তোমাদেরকে বাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে?” তারা জবাবে বলেন, “জ্বী, না। তবে আমরা ধারণা করেছিলাম যে, বাড়ির কেউ হয়তো ঘুমিয়ে আছে।” এটা শুনে তিনি বলেন, “তোমরা উম্মে আবদের পরিবারকে গাফেল মনে করেছো?”

রাবী বলেন, “তারপর তিনি তাসবীহ পাঠে মনোনিবেশ করেন অতঃপর যখন তিনি মনে করেন যে, সূর্য হয়তো উদিত হয়েছে, তখন তিনি তার খাদেমকে বলেন, “হে বালিকা, দেখতো সূর্য উদিত হয়েছে কি না?” অতঃপর সে দেখলো যে, সূর্য উদিত হয়েছে। তখন আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে আজকের এই দিন দান করেছেন।”

মাহদী রাবী বলেন, “আমার ধারণা তিনি আরো বলেছেন, “তিনি আমাদেরকে আমাদের পাপের কারণে ধ্বংস করে দেননি।”

অতঃপর কওমের এক ব্যক্তি বলেন, “আমি গত রাতে মুফাস্সালের সমস্ত সূরা পাঠ করেছি।” এটা শুনে আব্দুল্লাহ বিন মাস‘ঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “এই ব্যক্তি তো কবিতা আবৃতি করার ন্যায় (জোরে) কুরআন পাঠ করেছে। নিশ্চয়ই আমি মুফাস্সালের পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ সূরাসমূহ যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করতেন, তন্মধ্যে ১৮ টি সূরা এবং হা-মীম গ্রুপের দুটি সূরা আয়ত্ব করেছি।”[1]

ذِكْرُ مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ أَنْ يطوِّل الْقِيَامَ مِنْ صَلَاةِ اللَّيْلِ إِذْ فَضْلُ الصَّلَاةِ طُولُ القنوت

2598 - أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخٍ حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الْأَحْدَبُ : عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يَوْمًا بَعْدَمَا صَلَّيْنَا الْغَدَاةَ فَسَلَّمْنَا بِالْبَابِ فَأَذِنَ لَنَا فَمَكَثْنَا هُنَيْهَةً فَخَرَجَتِ الْخَادِمُ فَقَالَتْ: أَلَا تَدْخُلُونَ؟ قَالَ: فَدَخَلْنَا فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ يُسَبِّحُ فَقَالَ: مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا وَقَدْ أُذِنَ لَكُمْ؟ فَقَالُوا: لَا إِلَّا أَنَّا ظَنَنَّا أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْبَيْتِ نَائِمٌ قَالَ: ظَنَنْتُمْ بِآلِ أُمِّ عبدٍ غَفْلَةً ثُمَّ أَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ قَالَ: يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ؟ قَالَ: فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ قَدْ طَلَعَتْ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا - قَالَ مَهْدِيٌّ: وَأَحْسَبُهُ قَالَ - وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوبِنَا قَالَ: فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: قَرَأْتُ المُفَصَّل الْبَارِحَةَ كُلَّهُ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إني لأحفظ القرائن التي كان يقرأُهن رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم [الاحقاف: 1]. الراوي : أَبُو وَائِلٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2598 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1262).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ