পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ঐ ব্যক্তির দৃষ্টান্ত প্রদান, যাকে মহান আল্লাহ কুরআন দান করেছেন অতঃপর সে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করে, কুরআনের ইলমের উপর শয়ন করে, যাতে সে পেশকৃত দৃষ্টান্তের অনুরুপ মর্যাদা লাভ করতে পারে
২৫৬৯. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি সেনাদলকে অভিযানে প্রেরণ করলেন। অতঃপর তিনি তাদেরকে ডাকলেন এবং বললেন, “তোমাদের কাছে কুরআনের কী পরিমাণ মুখস্ত আছে?” তারপর তিনি তাদের থেকে এক এক করে কুরআন শ্রবণ করেন, এভাবে একজনের কাছে আসলেন, যিনি কওমের মাঝে বয়সে সবচেয়ে নবীন ছিলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “হে ওমুক, তোমার কতটুকু কুরআন মুখস্ত আছে?” জবাবে তিনি বলেন, “আমার এই এই মুখস্ত আছে এবং সূরা বাকারাও মুখস্ত আছে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমার সূরা বাকারাহ মুখস্ত আছে?” তিনি জবাবে বললেন, “জ্বী, হ্যাঁ।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যাও, তুমি তাদের আমীর।” তখন তাদের মাঝে এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি বললেন, “ঐ সত্তার কসম, যিনি এরকম, এরকম! হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কুরআন শিক্ষা করতে আমাকে স্রেফ এটাই বাধা দিয়েছে যে, আমি আশংকা করেছি যে, হয়তো আমি তা নফল সালাতে পাঠ করতে পারবো না। “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “কুরআন শিক্ষা গ্রহণ করো, তা তিলাওয়াত করো এবং ঘুমাও। কেননা যে ব্যক্তি কুরআন শিক্ষা করে, তা পাঠ করে এবং তা পাঠ করে নফল সালাত (বিশেষত তাহাজ্জুদ সালাত) আদায় করে, তবে তার দৃষ্টান্ত হলো ঐ থলের ন্যায়, যা মিশকে আম্বর সুগন্ধি দিয়ে ভর্তি, যার ঘ্রাণের বিচ্ছুরণ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আর যে কুরআন শিক্ষা করে, অতঃপর তা পেটে নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে, তার দৃষ্টান্ত হলো ঐ থলের ন্যায় যা মিশকে আম্বর সুগন্ধি দিয়ে ভর্তি করে মুখ বেধে রাখা রয়েছে।”[1]
ذِكْرُ تَمْثِيلِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُتَهَجِّدَ بِالْقُرْآنِ الَّذِي آتَاهُ اللَّهُ وَالنَّائِمَ عَلَيْهِ لِنيله بِمَا مَثَّلَ لَهُ
2569 - أَخْبَرَنَا ابْنُ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ عَطَاءٍ مَوْلَى أَبِي أَحْمَدَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثًا وَهُمْ نَفَرٌ فَدَعَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: (مَاذَا مَعَكُمْ مِنَ الْقُرْآنِ؟ ) فَاسْتَقْرَأَهُمْ حَتَّى مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنْهُمْ هُوَ مِنْ أَحْدَثِهِمْ سِنًّا ـ فَقَالَ: (مَاذَا مَعَكَ يَا فُلَانُ؟ ) قَالَ: مَعِي كَذَا وَكَذَا وَسُورَةُ الْبَقَرَةِ , قَالَ: (مَعَكَ سُورَةُ الْبَقَرَةِ؟ ) قَالَ: نَعَمْ قَالَ: (اذهب فأنت أميرهم) فقال رجل - وهو أشرفُهُم -: وَالَّذِي كَذَا وَكَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا مَنَعَنِي أَنْ لَا أَتَعَلَّمَ الْقُرْآنَ إِلَّا خَشْيَةَ أَنْ لَا أَقُومَ بِهِ! قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَعَلَّمِ الْقُرْآنَ وَاقْرَأْهُ وَارْقُدْ فَإِنَّ مَثَلَ الْقُرْآنِ لِمَنْ تَعَلَّمَهُ فَقَرَأَهُ وَقَامَ بِهِ كَمَثَلِ جِرَابٍ مَحْشُوٍّ مِسْكًا تَفُوحُ رِيحُهُ كُلّ مَكَانٍ وَمَنْ تَعَلَّمَهُ فَرْقَدَ وَهُوَ فِي جوفه كمثل جراب وُكِىءَ على مسك) الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2569 | خلاصة حكم المحدث: ضعيف - ((التعليق الرغيب)) (2/ 208 ـ 209) ((التعليق على ابن خزيمة)) (3/ 5/1509) ((المشكاة)) (2143/ التحقيق الثاني) , ((الضعيفة)) (6483).