পরিচ্ছেদঃ বসে সালাত আদায়কারীর উপর দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারী এবং শুয়ে সালাত আদায়কারীর উপর বসে সালাত আদায়কারীর সালাতের ফযীলত
২৫০৪. ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বসে সালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বলেন, “তুমি দাঁড়িয়ে সালাত করবে। কেননা এটাই উত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করে, সে দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সাওয়াব পায়। আর যে ব্যক্তি শুয়ে সালাত আদায় করে, সে বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সাওয়াব পায়।[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি হাদীসের ইলমে পরিপক্কতা অর্জন করেনি এবং সহীহ হাদীসের ব্যাপারে ব্যুপত্তি অর্জন করেনি, সে ব্যক্তি এই হাদীসের ব্যাপারে কদাচিত এই সংশয়ে পড়ে যায় যে, হাদীসটির সনদ হয়তো বিচ্ছিন্ন। অথচ ব্যাপারটি তেমন নয়। কেননা আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা এবং তার জমজ ভাই সুলাইমান বিন বুরাইদা রহিমাহুমাল্লাহ উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে ১৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
তারপর যখন উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে ফিতনার সুত্রপাত হয়, তখন বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার দুই ছেলেকে নিয়ে মাদীনা থেকে চলে বসরায় যান এবং সেখানে বসবাস করেন। আর সেসময় বসরাতে ইমরান বিন হুসাইন ও সামুরাহ বিন জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ছিলেন। অতঃপর আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা তাদের দুইজন থেকে হাদীস শ্রবণ করেন। ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শাসনামলে ৫২ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন।
তারপর বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার দুই ছেলেকে নিয়ে সিজিস্থানে যান এবং যোদ্ধা হিসেবে সেখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। তারপর তিনি সেখান থেকে হেরাতের পথে মরো এলাকায় যান। যখন তিনি সেখানে যান, সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।
সুলাইমান বিন বুরাইদা মরোতে বিচারকের পদে থাকা অবস্থায় ১৫০ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। কাজেই এটা প্রমাণ করে যে, আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদা ইমরান বিন হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস শ্রবণ করেছেন। ”
ذكر تَفْضِيلِ صَلَاةِ الْقَائِمِ عَلَى الْقَاعِدِ وَالْقَاعِدِ عَلَى النَّائِمِ
2504 - أخبرنا أَبُو يَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ حَمَّادٍ سجادة حدثنا أبو أُسَامَةَ عَنْ حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ: أَنَّهُ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلَاةِ قَاعِدًا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (صلِّ قَائِمًا فَهُوَ أَفْضَلُ وَمَنْ صَلَّى قَاعِدًا فَلَهُ نِصْفُ أَجْرِ الْقَائِمِ وَمَنْ صلى نائماً فله نصف أجر القاعد) الراوي : عِمْرَان بْن حُصَيْنٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2504 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الإرواء)) (455)، ((الروض النضير)) (585)، ((صحيح أبي داود)) (877)، ((صفة الصلاة)): خ. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: هَذَا إِسْنَادٌ قَدْ تَوَهَّمَ من لم يحكم صناعة الأخبار ولا تفقه فِي صَحِيحِ الْآثَارِ أَنَّهُ مُنْفَصِلٌ غَيْرُ مُتَّصِلٍ وَلَيْسَ كَذَلِكَ لِأَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ وُلِدَ فِي السَّنَةِ الثَّالِثَةِ مِنْ خِلَافَةِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ سَنَةَ خَمْسَ عَشْرَةَ هُوَ وَسُلَيْمَانُ بْنُ بُرَيْدَةَ أَخُوهُ تَوْأَمٌ فَلَمَّا وَقَعَتْ فِتْنَةُ عثمان في المدينة خَرَجَ بُرَيْدَةُ عَنْهَا بِابْنَيْهِ وَسَكَنَ الْبَصْرَةَ وَبِهَا إِذْ ذَاكَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ وَسَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ فَسَمِعَ مِنْهُمَا وَمَاتَ عِمْرَانُ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ وَخَمْسِينَ فِي وِلَايَةِ مُعَاوِيَةَ ثُمَّ خَرَجَ بُرَيْدَةُ مِنْهَا بِابْنَيْهِ إِلَى سِجِسْتَانَ فَأَقَامَ بِهَا غَازِيًا مُدَّةً ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا إِلَى مَرْوَ عَلَى طَرِيقِ هَرَاةَ فَلَمَّا دَخَلَهَا وَطَّنَهَا وَمَاتَ سُلَيْمَانُ بْنُ بُرَيْدَةَ بِمَرْوَ وَهُوَ عَلَى الْقَضَاءِ بِهَا سنة خمس ومئة فَهَذَا يَدُلُّكُ عَلَى أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بُرَيْدَةَ سَمِعَ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ.