পরিচ্ছেদঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই নির্দেশ ফরয নির্দেশক; মুস্তাহাব নির্দেশক নয় মর্মে তৃতীয় হাদীস
২১০৪. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই ইমাম নির্ধারণ করা হয়, তার অনুসরণ করার জন্য। কাজেই তোমরা তার বিরুদ্ধাচারণ করবে না। যখন তিনি তাকবীর দিবেন, তখন তোমরাও তাকবীর দিবে, যখন রুকূ‘ করবেন, তখন তোমরাও রুকূ‘ করবে, যখন তিনি سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ (আল্লাহ শ্রবণ করেন, যে তাঁর প্রশংসা করে) বলবেন, তখন তোমরা বলবে رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ (হে আমাদের প্রভু, আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা) আর যখন তিনি বসে সালাত আদায় করবেন, তখন তোমরা সবাই বসে সালাত আদায় করবে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুক্তাদীদেরকে ইমামের বিরুদ্ধাচারণ করতে নিষেধ করেছেন, যখন ইমাম বসে সালাত আদায় করেন। এই ধরণের বিষয় আমরা এই কিতাবে একাধিক জায়গায় বর্ণনা করেছি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কোন সময় ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ দিয়ে কোন কিছু নিষেধ করেন, তারপর ঐ নিষিদ্ধ জিনিস থেকে কোন জিনিসকে আলাদা করেন এবং নির্দিষ্ট কারণবশত তার বৈধতা দেন। যেমন- তিনি মুযাবানাহ (ওজন, পরিমাপ বা সংখ্যা ইত্যাদি না জেনে অনুমান করে কোন কিছু বিক্রয় করা) নিষেধ করেছেন। তারপর সেই বিধান থেকে আরায়া বিক্রয় আলাদা করেছেন এবং নির্দিষ্ট কারণবশত ও নির্দিষ্ট শর্তের ভিত্তিতে তার বৈধতা দিয়েছেন।
অনুরুপভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কোন সময় ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ দিয়ে কোন কিছু আদেশ করেন, তারপর সুনির্দিষ্ট কারণবশত ঐ আদিষ্ট জিনিস থেকে কোন জিনিসকে আলাদা করেন এবং তার বৈধতা দেন। যেমন- তিনি ইমাম ও মুক্তাদী সবাইকে অপারগ না হলে সবাইকে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করার আদেশ দিয়েছেন, তারপর তিনি ব্যাপক অর্থবোধক নির্দেশ থেকে কোন কিছুকে আলাদা করেন, আর সেটা হলো যখন ইমাম বসে সালাত আদায় করেন। এজন্য তিনি ব্যাপক অর্থবোধক নির্দেশ থেকে আলাদাকৃত বিষয়কে ব্যাপক অর্থবোধক নির্দেশের পর্যায়ভুক্ত গণ্য করতে নিষেধ করেছেন। হাদীসে এর বহু উপমা রয়েছে, যা আমরা এই কিতাবের বিভিন্ন জায়গায় বর্ণনা করবো, যদি আল্লাহ তা ফায়সালা করেন এবং চান।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَالِثٍ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذَا الْأَمْرَ هُوَ أَمْرُ حَتْمٍ لَا نَدْبٍ
2104 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلَا تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا وَإِذَا قَالَ: سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ وَإِذَا صَلَّى قَاعِدًا فصلوا قعوداً ـ أجمعون ـ) الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2104 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (2/ 119 ـ 120) قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَدْ زَجَرَ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْخَبَرِ الْمَأْمُومِينَ عَنِ الِاخْتِلَافِ عَلَى إِمَامِهِمْ إِذَا صَلَّى قَاعِدًا وَهُوَ مِنَ الضَّرْبِ الَّذِي ذَكَرْتُ فِي غَيْرِ مَوْضِعٍ مِنْ كُتُبِنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ يَزْجُرُ عَنِ الشَّيْءِ بِلَفْظِ الْعُمُومِ ثُمَّ يَسْتَثْنِي بَعْضَ ذَلِكَ الشَّيْءِ الْمَزْجُورِ عَنْهُ فَيُبِيحُه لِعِلَّةٍ مَعْلُومَةٍ كَمَا نَهَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمُزَابَنَةِ بلفظٍ مُطْلَقٍ ثُمَّ اسْتَثْنَى بَعْضَهَا وَهُوَ العرِيَّة فَأَبَاحَهَا بِشَرْطٍ مَعْلُومٍ لِعِلَّةٍ مَعْلُومَةٍ. وَكَذَلِكَ يَأْمُرُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَمْرَ بِلَفْظِ الْعُمُومِ ثُمَّ يَسْتَثْنِي بَعْضَ ذَلِكَ الْعُمُومِ فَيَحْظُرُهُ لِعِلَّةٍ مَعْلُومَةٍ كَمَا أَمَرَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَأْمُومِينَ وَالْأَئِمَّةَ ـ جَمِيعًا ـ أَنْ يُصَلُّوا قِيَامًا إِلَّا عِنْدَ الْعَجْزِ عَنْهُ ثُمَّ اسْتَثْنَى بَعْضَ هذا العموم وهو إذا صلى إمامه قَاعِدًا فَزَجَرَهُمْ عَنِ اسْتِعْمَالِهِ مَسْتَثْنًى مِنْ جُمْلَةِ الْأَمْرِ الْمُطْلَقِ وَلِهَذَا نَظَائِرُ كَثِيرَةٌ مِنَ السُّنَنِ سَنَذْكُرُهَا فِي مَوَاضِعِهَا مِنْ هَذَا الْكِتَابِ ـ إِنْ قَضَى اللَّهُ ذَلِكَ وَشَاءَهُ ـ