হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৯৫

পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত হাদীসগুলোর অর্থ যা আমরা বলেছি যে, আরবরা কামেল না হলে সে ক্ষেত্রে তারা সেই নাম ব্যবহার করেন না আবার কামালিয়্যাতের কাছাকাছি হলে তার নাম ব্যবহার করেন- আমাদের উল্লেখিত বিষয়ের বিশুদ্ধতা প্রমাণে হাদীস

১৯৫. আবু যার আল গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকী’ আল গারকাদের দিকে রওয়ানা দিলেন। আমিও তাঁর পিছে চললাম। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন: ’হে আবু যার!’ আমি বললাম: ’আমি আপনার এবং আপনার সন্তুষ্টির কাছে সদাপ্রস্তুত! আপনার জন্য আমি উৎসর্গিত হতে প্রস্তুত! তিনি বললেন: : ’(দুনিয়াতে ধন-সম্পদের দিক দিয়ে) আধিক্যতা লাভকারীরা কিয়ামতের দিন (সাওয়াব প্রাপ্তির দিক দিয়ে) স্বল্প লাভকারী হবে, তবে সে ব্যতিত যে ব্যক্তি তার সম্পদ ডানে ও বামে এভাবে এভাবে খরচ করবে ’ তিনি এই কথাটি তিনবার বললেন। তারপর আমাদের সামনে উহুদ পাহাড় পড়লো।

 অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’হে আবু যার, আমার এটা মোটেও পছন্দ নয় যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিবারের নিকট এক দীনার বা এক মিসকাল সোনাও সন্ধা পর্যন্ত থাকুক।’ আমি বললাম: আল্লাহ ও তার রাসূলই ভালো জানেন। এরপর আমাদের সামনে আরো একটি উপত্যকা পড়লো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপত্যকার মাঝে অবতরণ করলেন। আমি এক প্রান্তে বসে পড়লাম। আমার মনে হলো তাঁর কোন হাজত আছে। তিনি আমার কাছে আসতে বিলম্ব করলেন। ফলে আমার মনে মন্দ ধারণা উদয় হলো (যে হয়তো কোন শত্রু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে পড়েছে।) এমন সময় আমি মুনাজাত (চুপি চুপি সংলাপ) এর আওয়াজ শুনতে পেলাম। তিনি আমাকে বললেন: ’উনি জিবরীল, আমার উম্মাতের ব্যাপারে আমাকে জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি বললাম: ’হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে ‍চুরি করে?’ তিনি জবাবে বললেন: ’যদিও সে ব্যভিচার করে, যদিও সে চুরি করে, (তবুও সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।)’[1]

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَعَانِيَ هَذِهِ الْأَخْبَارِ مَا قُلْنَا إِنَّ الْعَرَبَ تَنْفِي الِاسْمَ عَنِ الشَّيْءِ لِلنَّقْصِ عَنِ الْكَمَالِ وَتُضِيفُ الِاسْمَ إِلَى الشَّيْءِ لِلْقُرْبِ مِنَ التَّمَامِ

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نحو بَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَانْطَلَقْتُ خَلْفَهُ فَقَالَ: "يَا أَبَا ذَرٍّ" فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ ثُمَّ سَعْدَيْكَ وَأَنَا فِدَاؤُكَ فَقَالَ: "الْمُكْثِرُونَ هُمُ الْمُقِلُّونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ" قَالَهَا ثَلَاثًا ثُمَّ عَرَضَ لَنَا أُحُدٌ فَقَالَ: "يَا أَبَا ذَرٍّ مَا يَسُرُّنِي أَنَّهُ لِآلِ مُحَمَّدٍ ذَهَبًا يُمْسِي مَعَهُمْ دِينَارٌ أَوْ مِثْقَالٌ" فَقُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ثُمَّ عَرَضَ لَنَا وَادٍ فَاسْتَبْطَنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَزَلَ فِيهِ وَجَلَسْتُ عَلَى شَفِيرِهِ فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ حَاجَةً فَأَبْطَأَ عَلَيَّ وَسَاءَ ظَنِّي فَسَمِعْتُ مُنَاجَاةً فَقَالَ: "ذَلِكَ جِبْرِيلُ يُخْبِرُنِي لِأُمَّتِي مَنْ شَهِدَ مِنْهُمْ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ" فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: "وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ. الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 195 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.