হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৬২৩৮

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৩৮-[৪৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, আবূ যার (রাঃ)-এর তুলনায় সত্যবাদী আর কাউকে নীল আকাশ ছায়া দান করেনি এবং ধুলা-ধূসর জমিনও তার পিঠে বহন করেনি। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٌو قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا أَظَلَّتِ الْخَضْرَاءُ وَلَا أَقَلَّتِ الْغَبْرَاءُ أَصْدَقَ مِنْ أبي ذَر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ حسن ، رواہ الترمذی (3801 وقال : حسن غریب) ۔ (حسن)

ব্যাখ্যা: (الْخَضْرَاءُ)-এর দ্বারা উদ্দেশ্য আকাশ। (الْغَبْرَاءُ) থেকে উদ্দেশ্য হলো জমিন। (أَصْدَقَ مِنْ أبي ذَر) -শব্দটি (أَقَلَّتِ) এর (مَفْعُولُ) (কর্ম) এবং উহ্য (أَحَد)-এর সিফাত।
এভাবে সীমাবদ্ধ করার মাধ্যমে তার প্রতি তাগিদ ও অধিক সত্যবাদিতার কথায় বলা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি চূড়ান্ত সত্যবাদিতার আসনে অধিষ্ঠিত। তবে তিনি সাধারণভাবে অন্য সবার চাইতে সত্যবাদী নন। কারণ তাঁর ব্যাপারে এভাবে বলা ঠিক নয় যে, আবূ যার (রাঃ) আবূ বাকর (রাঃ)-এর চাইতে অধিক সত্যবাদী। তিনি হলেন, নবী (সা.)-এর পরে উম্মতের মধ্যে অধিক সত্যবাদী ও উত্তম। আর নবী (সা.) ছিলেন আবূ বাকর (রাঃ) অন্যদের চাইতে সত্যবাদী (যেমনটি সাহাবীগণ বর্ণনা করেন)।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নিশ্চয় রাসূল (সা.) এবং সমস্ত নবী (আঃ) গন বিধানগতভাবে পূর্ব বিষয়ের বাহিরে। আর আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) স্বীয় অধিক সত্যবাদিতার কারণে সিদ্দীক উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। এ ব্যাপারটি এটি বাঁধা দেয় না যে, আর কেউ স্বীয় কথায় সত্যবাদিতার গুণে বিভূষিত হোক।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, তোমাদের মধ্যে বড় পাঠক হলো- আবূ যার (রাঃ) বড় বিচারক হলেন ‘আলী (রাঃ)। আর অবশ্যই (مَفْضُول) (যার ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে) এর মধ্যে এমন বস্তু উপস্থিত থাকা দরকার যা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে। অথবা সে এবং সর্বাধিক শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ব্যক্তি গুণসমূহের মধ্যে কোন গুণে সমানভাবে শরীক হবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮১৩)