হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪৫৩৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩৫-[২২] যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পাঁজরে ব্যথার চিকিৎসায় কুস্তব বাহরী (চন্দন কাঠ) ও যায়তূনের তেল ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। (তিরমিযী)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن زيد بن أَرقم قَالَ: أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَتَدَاوَى مِنْ ذَاتِ الْجَنْبِ بِالْقُسْطِ البحريِّ وَالزَّيْت. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

ব্যাখ্যাঃ ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) (ذَاتِ الْجَنْبِ) এর অর্থ করেছেন- যক্ষা। ইমাম হাফিয ইবনুল কইয়িম (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, ডাক্তারদের নিকট এ রোগটা দুই প্রকার : প্রথমটি হলো আসল আর দ্বিতীয়টি আসল নয়। তিনি আসলটির পাঁচটি লক্ষণ উল্লেখ করেছেন। ১. জ্বর, ২. কাশি, ৩. খোঁচা দেয়ার মতো ব্যথা, ৪. আত্মা সংকীর্ণ হওয়া, ৫. নাড়ী-ভূড়িতে ব্যথা হওয়া। এটি ভিতর থেকে পাজরের হাঁড়ের পাশে বের হয় এবং ফুলে যায়, গরম থাকে। এটি ভিতর থেকে খোঁচাতে থাকে। আর যেটি আসল না সেটির ব্যথা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। আর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে হাদীসে বর্ণিত চন্দন কাঠ খুব ভালোভাবে গুঁড়ো করে গরম তেলের সাথে মিশিয়ে খুব যত্ন সহকারে দুর্গন্ধের স্থানে লাগিয়ে দিলে বা মালিশ করে দিলে খুবই উপকার হয়। এছাড়া যায়তূনের তেল শরীরকে শক্তি যোগায় ও হাড় মজবুত করে।

মুসায়হী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কাঠটি হবে শুকনো গরম যা পেটকে অর্থাৎ ডায়রিয়া মুক্ত রাখতে সাহায্য করে, ভিতর থেকে শরীরকে শক্তি জোগায়, দুর্গন্ধকে দূর করে, ছিদ্রগুলোকে খুলে দেয়, যাতুল জান্ব-এর জন্য খুবই উপকারী। কেউ কেউ কাঁচা কাঠের ফাযীলাত বর্ণনা করেছেন। উল্লেখিত কাঠটি মগজের জন্য খুবই ভালো। (তুহফাতুল আহ্ওযায়ী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৭৯)