হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১০১২

পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহের ব্যাপারে সমতা ও বিচ্ছেদের স্বাধীনতা - বিবাহের মধ্যে ত্রুটিসমূহ

১০১২। যায়দ বিন কা’ব বিন উজরাহ থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু গিফার গোত্রের ’আলিয়াহ নামক এক মহিলাকে বিবাহ করেন। তারপর ঐ মহিলা নবী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে প্রবেশ করেন ও তাঁর দেহাবরণ উন্মোচন করেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোমরের কাছাকাছি অঙ্গে সাদা দাগ দেখতে পান এবং তাঁকে বলেন- কাপড় পরে তুমি তোমার পরিবারের নিকটে চলে যাও। তিনি তাকে তার মোহর দিয়ে দেয়ার জন্য আদেশ করেন।

হাকিম এটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সূত্রে জামিল বিন যায়দ একজন অজ্ঞাত রাবী বা বর্ণনাকারী। তাঁর ওস্তাদ কে ছিলেন এ নিয়ে বিরাট মতভেদ ঘটেছে।

সাঈদ বিন মুসাইয়্যিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ’উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে বিবাহ করে, অতঃপর তার সাথে মিলন করতে গিয়ে দেখে যে, ঐ নারী শ্বেত কুষ্ঠরোগী বা পাগলী বা কুষ্ঠ রোগগ্ৰস্তা তাহলে ঐ মহিলার জন্য তার স্বামীর উপর স্পর্শ করা (মিলন) হেতু মাহর আদায় যোগ্য হবে। তবে ঐ ব্যাপারে যদি কেউ ধোঁ‌কা দিয়ে থাকে তাহলে তাকেই মোহরের জন্য দায়ী করা হবে। হাদীসটিকে সাঈদ বিন মানসূর, মালিক, ইবনু আবী শাইবাহ বৰ্ণনা করেছেন। হাদীসটির রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।

উক্ত সাহাবী সাঈদ আলী (রাঃ) থেকে অনুরূপ আরো অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন- তাতে আছে আর যে মহিলার গুপ্তাঙ্গে ক্বার্ণ অর্থাৎ গুপ্তাঙ্গে দাঁতের অনুরূপ শক্ত বস্তু উদগত হয়ে থাকে তাহলে স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার পাবে। আর ঐ স্ত্রীর সাথে মিলনে গুপ্তাঙ্গ ব্যবহার হয়ে থাকলে স্ত্রী মোহর প্রাপ্য যা দ্বারা তার গুপ্তাঙ্গ হালাল হবে।

এবং সাঈদ বিন মুসায়্যিবের সূত্রে আরও আছে তিনি (সাঈদ) বলেছেন– ’উমার (রাঃ) তাঁর খেলাফতকালে ইন্নীন বা পুরুষত্বহীনকে এক বছর অবসর দেয়ার ফয়সালা প্ৰদান করেছিলেন। -এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।[1]

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ, عَنْ أَبِيهِ قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - الْعَالِيَةَ مِنْ بَنِي غِفَارٍ, فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ وَوَضَعَتْ ثِيَابَهَا, رَأَى بِكَشْحِهَا بَيَاضًا، فَقَالَ: «الْبَسِي ثِيَابَكِ, وَالْحَقِي بِأَهْلِكِ»، وَأَمَرَ لَهَا بِالصَّدَاقِ. رَوَاهُ الْحَاكِمُ, وَفِي إِسْنَادِهِ جَمِيلُ بْنُ زَيْدٍ وَهُوَ مَجْهُولٌ, وَاخْتُلِفَ عَلَيْهِ فِي شَيْخِهِ اِخْتِلَافًا كَثِيرًا وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ; أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - رضي الله عنه - قَالَ: أَيُّمَا رَجُلٍ تَزَوَّجَ امْرَأَةً, فَدَخَلَ بِهَا, فَوَجَدَهَا بَرْصَاءَ, أَوْ مَجْنُونَةً, أَوْ مَجْذُومَةً, فَلَهَا الصَّدَاقُ بِمَسِيسِهِ إِيَّاهَا, وَهُوَ لَهُ عَلَى مَنْ غَرَّهُ مِنْهَا. أَخْرَجَهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ, وَمَالِكٌ, وَابْنُ أَبِي شَيْبَةَ, وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ وَرَوَى سَعِيدٌ أَيْضًا: عَنْ عَلِيٍّ نَحْوَهُ, وَزَادَ: وَبِهَا قَرَنٌ, فَزَوْجُهَا بِالْخِيَارِ, فَإِنْ مَسَّهَا فَلَهَا الْمَهْرُ بِمَا اسْتَحَلَّ مِنْ فَرْجِهَا وَمِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَيْضًا قَالَ: قَضَى [بِهِ] عُمَرُ فِي الْعِنِّينِ, أَنْ يُؤَجَّلَ سَنَةً، وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ - ضعيف جدا. رواه الحاكم (4/ 34)، من طريق أبي معاوية الضرير، عن جميل بن زيد الطائي، عن زيد بن كعب، به. وجميل بن زيد قال عنه ابن معين: «ليس بثقة». وقال البخاري: «لم يصح حديثه». وأما الإختلاف عليه في الحديث فهو كثير كما قال الحافظ، ومن قبله قال ابن عدي في «الكامل» بعد أن ذكر شيئا من هذا الاختلاف (2/ 593): «جميل بن زيد يُعْرف بهذا الحديث، واضطرب الرواة عنه بهذا الحديث حسب ما ذكره البخاري، وتلون على ألوانه


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ