হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৯৬

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

২৯৬. জুবাইর ইবনু নুফাইর আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন: “এই সময়ে লোকদের নিকট থেকে ইলমকে কেড়ে নেয়া হবে, এমনকি এর উপর তাদের কোনো ক্ষমতাই থাকবে না।” তখন যিয়াদ ইবনু লাবীদ আল আনসারী বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, কিভাবে আমাদের থেকে জ্ঞানকে কেড়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন পড়ছি? আল্লাহর কসম, আমরা তো অবশ্যই পড়ছি, এমনকি আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও পড়াচ্ছি। তখন তিনি বললেন: “হে যিয়াদ, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! আমি তো তোমাকে মদীনাবাসীদের মধ্যে ফকীহ হিসেবে গণ্য করতাম! এই যে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের নিকট তাওরাত ও ইন্জিল কিতাব রয়েছে, তা তাদের কোন্ কাজে আসছে?” জুবাইর বলেন: আমি উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র সাথে সাক্ষাৎ করলাম।’ তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তিনি বললেন: আমি বললাম, আপনি কি শুনেননি আপনার ভাই আবু দারদা কী বলছেন? তিনি যা বলেছিলেন, আমি তাকে তা জানালাম।

তখন তিনি বললেন: আবু দারদা সত্যই বলেছেন, তুমি চাইলে আমি তোমার নিকট এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করতে পারি যে, সর্বপ্রথম কোন্ জ্ঞান লোকদের থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে। (সর্বপ্রথম লোকদের নিকট থেকে জ্ঞানের যে অংশটুকু উঠিয়ে নেয়া হবে তা হলো) ’খুশু’ (আল্লাহর ভয়)। শীঘ্রই তুমি কোনো জামে’ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে ’খুশু’ ওয়ালা (ভয়াবনত) একজন লোককেও পাবে না।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ جُبْيَرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ: «هَذَا أَوَانُ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لَا يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ» فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ؟ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ، وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا، فَقَالَ: «ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ، إِنْ كُنْتُ لَأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، فَمَاذَا يُغْنِي عَنْهُمْ؟» قَالَ جُبَيْرٌ: فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ أَلَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ؟ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ. قَالَ: صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لَأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ: الْخُشُوعُ، يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ الْجَمَاعَةِ فَلَا تَرَى فِيهِ رَجُلًا خَاشِعًا إسناده ضعيف عبد الله بن صالح سيئ الحفظ وفيه غفلة وباقي رجاله ثقات


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ