হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৪০১২

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৪০১২-[২৮] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই গনীমাতের মাল লাভ করতেন তখন বিলাল (রাঃ)-কে সকলের উদ্দেশে ঘোষণা করার জন্য নির্দেশ করতেন, আর লোকেরা তাদের স্ব-স্ব গনীমাত নিয়ে জমা করতো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সমস্ত মাল হতে (বায়তুল মালের) এক-পঞ্চমাংশ বের করতেন এবং অবশিষ্টগুলো লোকেদের মধ্যে বণ্টন করে দিতেন। একদিন এক ব্যক্তি খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) বের করার এবং সমস্ত মাল বণ্টন করে দেয়ার পর পশমের একটি লাগাম নিয়ে এসে বললঃ হে আল্লাহর রসূল! এটাও কি গনীমাতের মাল বলে বিবেচ্য হবে, যা আমি পেয়েছিলাম। তার কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেনঃ বিলাল যে ইতোঃপূর্বে তিনবার ঘোষণা করেছিল, তখন এটা আনলে না কেন? সে বিভিন্ন (দুর্বল) ওযর পেশ করল। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যাও! তুমি এটা নিয়ে যাও, কিয়ামতের দিন এ রশি নিয়েই তুমি উপস্থিত হবে। আমি তোমার নিকট হতে এটা গ্রহণ করব না। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَن عبدِ الله بنِ عَمْروٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصَابَ غَنِيمَةً أَمَرَ بِلَالًا فَنَادَى فِي النَّاسِ فَيَجِيئُونَ بِغَنَائِمِهِمْ فَيُخَمِّسُهُ وَيُقَسِّمُهُ فَجَاءَ رَجُلٌ يَوْمًا بَعْدَ ذَلِكَ بِزِمَامٍ مِنْ شَعَرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا فِيمَا كُنَّا أَصَبْنَاهُ مِنَ الْغَنِيمَةِ قَالَ: «أَسْمَعْتَ بِلَالًا نَادَى ثَلَاثًا؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: «فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَجِيءَ بِهِ؟» فَاعْتَذَرَ قَالَ: «كُنْ أَنْتَ تَجِيءُ بِهِ يومَ القيامةِ فلنْ أقبلَه عَنْك» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: লোকটি বিলম্বে গনীমাতের সম্পদ জমা দিতে আসলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা গ্রহণ করলেন না, এর কারণ হলো তার নিকটের ঐ বস্তুটি সমগ্র মুজাহিদের অর্জিত গনীমাতের একটি অংশ এবং ওটাতে রয়েছে তাদের সকলের অংশ ওটা ছাড়াই সমগ্র গনীমাতের মাল বণ্টন হয়ে গেছে, এখন ঐ একটি বস্তু কিভাবে বণ্টন করবেন? তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এখন ওটা তোমার হাতেই থাক, কিয়ামতের দিন তুমি নিজে ওর জওয়াবদিহী করবে। (মিরকাতুল মাফাতীহ; আফ্লাতুল কায়সার অনূদিত মিশকাত ৮ম খন্ড, ১০১ পৃঃ)