হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - গনীমাতের সম্পদ বণ্টন এবং তা আত্মসাৎ করা

৩৯৯৬-[১২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে গনীমাত খিয়ানাত করা যে, মারাত্মক অপরাধ এবং তার পরিণাম ফল যে, খুব ভয়াবহ- এ সম্পর্কে নাসীহাত করার পর সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে বলেন, কিয়ামতের দিন আমি যেন তোমাদের কাউকেও এ অবস্থায় দেখতে না পাই, সে স্বীয় কাঁধের উপর চিৎকাররত একটি উটসহ উপস্থিত হয়ে বলতে থাকবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে রক্ষা করুন! আর আমি বলব, আজ আমার কিছু করার নেই। আমি তো আল্লাহর বিধান আগেই (দুনিয়াতে) জানিয়ে দিয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে স্বীয় কাঁধের উপর চিৎকাররত একটি বকরী বহন করে আসবে, আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে রক্ষা করুন।

আমি বলব, আমার কিছু করার নেই। আমি তো আল্লাহর বিধান আগেই জানিয়ে দিয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে স্বীয় কাঁধের উপর চিৎকাররত একটি মানুষকে বহন করে আসবে, আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে রক্ষা করুন। আমি বলব, আমার কিছু করার নেই। আমি তো আল্লাহর বিধান আগেই জানিয়ে দিয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে স্বীয় কাঁধের উপর এলোমেলো বিশিষ্ট কাপড়-চোপড় বহন করে আসবে, আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে রক্ষা করুন।

আমি বলব, আমার কিছু করার নেই। আমি তো আল্লাহর বিধান আগেই জানিয়ে দিয়েছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বললেন, আমি তোমাদের কাউকে কিয়ামতের দিন এ অবস্থায় দেখতে না পাই যে, সে স্বীয় কাঁধের উপর জড়ো সম্পদ বহন করে আসবে, আর আমাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে রক্ষা করুন। আমি বলব, আমার কিছু করার নেই। আমি তো আল্লাহর বিধান আগেই জানিয়ে দিয়েছি। (বুখারী, মুসলিম; তবে শব্দবিন্যাস মুসলিম-এর, আর এটাই বিস্তৃত ও পূর্ণাঙ্গ হাদীস)[1]

بَابُ قِسْمَةِ الْغَنَائِمِ وَالْغُلُوْلِ فِيْهَا

وَعَن أبي هُرَيْرَة قَالَ: قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ فَذَكَرَ الْغُلُولَ فَعَظَّمَهُ وَعَظَّمَ أَمْرَهُ ثُمَّ قَالَ: لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ بَعِيرٌ لَهُ رُغَاءٌ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ. لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ فُرْسٌ لَهُ حَمْحَمَةٌ فَيَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ شَاةٌ لَهَا ثُغَاءٌ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ نَفْسٌ لَهَا صِيَاحٌ فَيَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ رِقَاعٌ تَخْفُقُ فَيَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لَا أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِيءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ صَامِتٌ فَيَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَغِثْنِي فَأَقُولُ: لَا أَمْلِكُ لَكَ شَيْئا قد أبلغتك . وَهَذَا لفظ مُسلم وَهُوَ أتم

ব্যাখ্যা: الْغُلُولَ ‘গুলূল’ শব্দের অর্থ الْخِيَانَةُ فِي الْغَنِيمَةِ গনীমাতের মাল খিয়ানাত করা, আত্মসাৎ করা, চুরি করা। কেউ কেউ বলেছেন, (يَتَخَوَّضُوْنَ) ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়, অর্থাৎ সকল চোরাই বা আত্মসাৎকৃত সম্পদই الْغُلُولَ। মোট কথা হারাম পন্থায় সংগৃহীত অর্থই গুলূল।

কিয়ামত দিবসে প্রত্যেকেই তার আত্মাসাৎকৃত বস্তু ঘাড়ে নিয়ে উঠবে। সেটি যদি কোনো প্রাণী হয় তাহলে বিকট চিৎকার করতে থাকবে, আর যদি অন্য কোনো জড় বস্তু হয় তবে সেটাও তার ঘাড়ে ভীষণভাবে চেপে বসবে, ফলে সে চিৎকার করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সাহায্যপ্রার্থী হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবাইকে বলবেন, আমি আজ তোমাদের কিছুই করতে পারব না। আমি তো আল্লাহর বিধান পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি, অর্থাৎ আত্মসাতের পরিণতির কথা তোমাদেরকে পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছি, তোমরা সে কথা কানে নাওনি, তাই আজ আমি তোমাদের পক্ষে কোনো সুপারিশ করতে পারব না। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৭ম খন্ড, ৫১৬ পৃঃ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ