হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৯৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধাভিযানে হত্যার বর্ণনা

৩৯৫৭-[২১] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন (মুশরিকদের পক্ষে) ’উতবাহ্ ইবনু রবী’আহ্ সর্বপ্রথম সম্মুখে অগ্রসর হলেন। অতঃপর তার অনুসরণ করে পিছু নিল তার পুত্র (ওয়ালীদ) ও তার ভাই (শায়বাহ্)। অতঃপর সে পরস্পর যুদ্ধের জন্য ঘোষণা দিল, কে আছ যে আমাদের মুকাবিলা করবে? তার আহবানে সাড়া দিয়ে কয়েকজন আনসারী যুবক এগিয়ে গেল। ’উতবাহ্ জিজ্ঞেস করল, তোমরা কারা? যুবকেরা তাদের পরিচয় দিল। তখন ’উতবাহ্ বলল, তোমাদের সাথে মুকাবিলা করা আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই; বরং আমরা তো আমাদের চাচাত ভাইদেরকে চাই। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে হামযাহ্! তুমি যাও, হে ’আলী! তুমি যাও এবং হে ’উবায়দাহ্ ইবনু হারিস! তুমি যাও। অতঃপর হামযাহ্ ’উতবার দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে হত্যা করলেন। আর আমি শায়বার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে তাকে হত্যা করলাম। আর ’উবায়দাহ্ ও ওয়ালীদ-এর মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমণ চলতে লাগল এবং পরস্পরের মধ্যে মারাত্মকভাবে হতাহত হতে লাগল। অতঃপর ’আলী বলেন, এ অবস্থা দেখে আমরা তৎক্ষণাৎ ওয়ালীদণ্ডএর ওপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করলাম এবং ’উবায়দাহ্-কে আহত অবস্থায় উঠিয়ে নিয়ে এলাম। (আহমাদ, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ تَقَدَّمَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ وَتَبِعَهُ ابْنُهُ وَأَخُوهُ فَنَادَى: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَانْتُدِبَ لَهُ شبابٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: مَنْ أَنْتُمْ؟ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ: لَا حَاجَةَ لَنَا فِيكُمْ إِنَّمَا أَرَدْنَا بَنِي عَمِّنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قُمْ يَا حَمْزَةُ قُمْ يَا عَلِيُّ قُمْ يَا عُبَيْدَةُ بْنَ الْحَارِثِ» . فَأَقْبَلَ حَمْزَةُ إِلى عتبةَ وَأَقْبَلْتُ إِلَى شَيْبَةَ وَاخْتَلَفَ بَيْنَ عُبَيْدَةَ وَالْوَلِيدِ ضَرْبَتَانِ فَأَثْخَنَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ ثُمَّ مِلْنَا عَلَى الْوَلِيدِ فَقَتَلْنَاهُ وَاحْتَمَلْنَا عُبَيْدَةَ. رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: শারহুস্ সুন্নাহ্তে আছে, অত্র হাদীসে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরস্পর কুস্তির বৈধতা আছে। ইমাম যখন অনুমতি দিবে তখন কুস্তি বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্বানগণ মতানৈক্য করেননি। যখন কুস্তি ইমামের অনুমতিক্রমে না হবে তখন তা বৈধ হওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্বানগণ মতানৈক্য করেছেন। একদল তা বৈধ সাব্যস্ত করেছেন, আর ইমাম মালিক ও শাফি‘ঈ এ মত সমর্থন করেছেন। কেননা আনসারীরা যুদ্ধ ক্ষেত্রের দিকে বেরিয়ে গিয়েছিল, আর যখন একজন তার সাথীর ক্ষেত্রে অক্ষম হয়েছিল তখন হামযাহ্, ‘আলী এবং ‘উবায়দাহ্ (রাঃ) এগিয়ে এসেছিল। এ ব্যাপারে উক্তি করেছেন শাফি‘ঈ, আহমাদ ও ইসহক। আওযা‘ঈ বলেন, কুস্তিতে কেউ কাউকে সাহায্য করবে না, কেননা কুস্তি এমনই হয়ে থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

খত্ত্বাবী বলেনঃ হাদীসের সারমর্ম হলো, নিঃসন্দেহে কুস্তি ইমামের অনুমতি ও বিনা অনুমতি- উভয় অবস্থাতে বৈধ হওয়ার উপরে হাদীসটি প্রমাণ বহন করছে। কেননা হামযাহ্ এবং ‘আলী -এর কুস্তি অনুমতিসাপেক্ষে ছিল, আর আনসারীরা বের হয়ে এসেছিল, এমতাবস্থায় তাদের জন্য কোনো অনুমতি ছিল না। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাজ অস্বীকার করেননি। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৬২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ