হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৫৬৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৫৬৩-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কারও বাঁদী যিনা করে আর তা প্রকাশ হয়ে পড়ে, তখন তাকে চাবুক মারো। কিন্তু তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করো না। যদি পুনরায় যিনা করে তাহলে এবারও তার ওপর দণ্ডিত কর, তবুও তাকে হেয়-প্রতিপন্ন করা যাবে না। কিন্তু এরপরও যদি সে তৃতীয়বার যিনা করে আর তা উন্মোচিত হয়, তখন চুলের একটি রশির বিনিময় হলেও তাকে বিক্রি করে দাও। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا زَنَتْ أَمَةُ أَحَدِكُمْ فَتَبَيَّنَ زِنَاهَا فَلْيَجْلِدْهَا الحدَّ وَلَا يُثَرِّبْ عَلَيْهَا ثمَّ إِنْ زنَتْ فلْيجلدْها الحدَّ وَلَا يُثَرِّبْ ثُمَّ إِنْ زَنَتِ الثَّالِثَةَ فَتَبَيَّنَ زِنَاهَا فَلْيَبِعْهَا ولوْ بحبْلٍ منْ شعرٍ»

ব্যাখ্যা: হাদীসে দলীল সাব্যস্ত হয় যে, দাস-দাসীর ওপর হাদ্দ বাস্তবায়ন করা ওয়াজিব। আরো প্রমাণিত হয় যে, মুনীব তার দাস বা দাসীর হাদ্দ প্রয়োগ করতে পারবে- এটা মালিক, আহমাদ সকল ‘উলামাহ্, সাহাবী ও তাবি‘ঈদের মতো আর হানাফীদের একটি দল বলে এমনটি প্রযোজ্য হবে না তথা মুনীব শাস্তি দিতে পারবে না। তবে এ হাদীস জুমহূর ‘উলামাদের জন্য সুস্পষ্ট দলীল।

হাদীসে আরো দলীল হিসেবে সাব্যস্ত হয় যে, দাস এবং দাসীকে রজম করে হত্যা করা যাবে না, চাই সে বিবাহিত হোক বা না হোক, কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য: (فَلْيَجْلِدْهَا الْحَدَّ) তাকে যেন চাবুক মারে। সেখানে বিবাহিত, অবিবাহিত পার্থক্য করেননি।

আরো প্রমাণিত হয়, যিনাকারী দাসকে দেশান্তর করা হবে না শুধুমাত্র হাদ্দ প্রয়োগ করা হবে। হাদীসে আরো সাব্যস্ত হয়, যিনাকারী দাসকে প্রথমবার যিনা করার কারণে চাবুক মারা হলো দ্বিতীয়বার করলেও অবশ্যই মারা হবে, তৃতীয়বার করলেও অবশ্যই মারা হবে। পুনরায় করলে অবশ্যই হাদ্দ প্রয়োগ করা হবে অনুরূপ চলবে। আর যদি অনেকবার যিনা করে এবং তার হাদ্দ প্রয়োগ হয়নি তাহলে সর্বশেষ যিনার হাদ্দ প্রয়োগই সকল যিনার হাদ্দের যথেষ্ট হবে।

হাদীসে আরো সাব্যস্ত হয় যে, ফাসিক, গুনাহগার ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের থেকে দূরে থাকা। আর এ ধরনের বিক্রয়ের নির্দেশের বিষয়টি মুস্তাহাব, ওয়াজিব না। জুমহূরদের নিকট আবূ দাঊদ বলেন, আহলুয্ যাহিরের নিকট ওয়াজিব। হাদীসে প্রমাণিত হয় যে, পছন্দনীয় বস্তু স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করা বৈধ- এ ব্যাপারে সবই একমত যখন বিক্রেতা ব্যক্তি ‘আলিম আর যদি মূর্খ ব্যক্তি হয় তবুও জুমহূরদের নিকট বৈধ। তবে মালিকীরা বিরোধিতা করেছে। আল্লাহই ভালো জানেন। আর এ ধরনের ক্রয়-বিক্রয়ে বিক্রেতা ব্যক্তি অবশ্যই ক্রেতাকে বিক্রিত বস্তুর ত্রুটি উল্লেখ করবে। আর ত্রুটি উল্লেখ করা ওয়াজিব। যদি প্রশ্ন করা হয় কিভাবে বিক্রয় করা বৈধ, কারণ এমন বস্তু নিজের জন্য সে অপছন্দ করে যা অপর মুসলিম ভাইয়ের জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করে? (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৭০৩)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ