হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৩১৮

পরিচ্ছেদঃ ১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লি‘আন

৩৩১৮-[১৫] ’আমর ইবনু শু’আয়ব তাঁর পিতা হতে দাদার মাধ্যমে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত সন্তানের ব্যাপারে ফায়সালা প্রদান করেন, যে পিতার মৃত্যুর পরে (দাসীর গর্ভে) সন্তানকে উক্ত পিতার পিতৃত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তার ওয়ারিসগণের সাথে সংযোজিত করা হয়েছে। তথা ব্যক্তি যদি তার দাসীকে সহবাসকালে তার মালিক থাকে তবে ঐ সন্তান মালিকের সন্তান বলে গণ্য হবে। তবে সহবাসের পূর্বে বণ্টিত সম্পত্তি হতে এ সন্তান উত্তরাধিকার পাবে না, আর বণ্টিত হওয়ার পূর্বে যা সে পেয়েছে তার উত্তরাধিকার এ সন্তান পাবে। ঐ পিতা যাকে সন্তানের পিতা বলে দাবি করা হচ্ছে সে যদি স্বীয় দাসীর গর্ভজাত অথবা ব্যভিচারিণী স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার না করে, তবে তার সন্তান বলে স্বীকৃত হবে না। এরূপ যে সন্তান এমন দাসীর ঘরে জন্ম নেয়, সে তার মালিক ছিল না। অথবা, এমন স্বাধীনা মহিলার সন্তান যার সাথে সে যিনা করেছে; তবে সে সন্তান পিতা বলে ঐ ব্যক্তির ওয়ারিসদের সাথে সংযোজিত হবে না, যদিও সে তাকে স্বীয় পুত্র বলে দাবি করে। কেননা সে যিনার সন্তান, স্বাধীনা মহিলার ঘরে হোক বা দাসীর ঘরে হোক। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قضى أَن كل مستحلق استحلق بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ فَقَضَى أَنَّ كُلَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يملكهَا يَوْم أَصَابَهَا فقد لحق بِمن استحلقه وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَيْءٌ وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ وَلَا يَلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ فَإِنْ كَانَ مِنْ أمَةٍ لم يَملِكْها أَو من حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا فَإِنَّهُ لَا يَلْحَقُ بِهِ وَلَا يَرِثُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ الَّذِي ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنْيَةٍ مِنْ حُرَّةٍ كَانَ أَوْ أَمَةٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: (مُسْتَلْحَقٍ) যাকে নিজ বংশভুক্ত বা ঔরসভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। হাদীসে এমন ব্যক্তির বংশ নির্ধারণ ও এর মাধ্যমে মীরাসের বিবরণ দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যাকে কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকাবস্থায় তার সন্তান বলে দাবী বা অস্বীকার কোনটাই করেনি, যার দিকে দাবী করা হচ্ছে তার মৃত্যুর পর অন্যান্য ওয়ারিসরা তাকে এই মৃত ব্যক্তির ঔরসজাত অর্থাৎ তাদের মতো সেও এই ব্যক্তির একজন ওয়ারিস বলে দাবী করছেন। এমন ব্যক্তির বেলায় বংশ বা মীরাসের ফায়সালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে দিচ্ছেন। বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ফায়সালা দেন তা হলো,

* সন্তানটি যদি এমন দাসী থেকে হয় যে দাসীর মালিক ঐ মৃত ব্যক্তি ছিল এবং সে তার সাথে যেদিন সহবাস করেছে সেদিনও ঐ দাসীর মালিক। তবে ওয়ারিসদের দাবী মতে তাকে ঔরসজাত সাব্যস্ত করা হবে।

* ওয়ারিসরা এই দাবীর পূর্বে যে সম্পদ বণ্টন করা হয়ে গেছে তা থেকে সে কোনো অংশ পাবে না। অর্থাৎ পূর্বের বণ্টনকে রহিত বা পূর্বে যাদেরকে সম্পদ মীরাসের ভিত্তিতে বণ্টন করে দেয়া হয়ে গেছে তাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে তাকে দিতে হবে না।

* যে মীরাস দাবীর পূর্বে বণ্টন হয়নি উক্ত মীরাসে অন্যান্য ওয়ারিসের মতো সেও অংশীদার হবে; কেননা ওয়ারিসদের দাবীর ভিত্তিতে সেও একজন ওয়ারিস সাব্যস্ত হয়ে গেছে।

* যার সন্তান বলে দাবী করা হচ্ছে সে যদি মৃত্যুর পূর্বে একে তার সন্তান বলে অস্বীকার করে যায় তবে অন্যান্য ওয়ারিসদের দাবীতে বংশ সাব্যস্ত হবে না এবং সে ঐ লোকের ওয়ারিস হবে না।

* যদি সে এমন দাসীর হয় যে দাসীর মালিক মৃত ব্যক্তি ছিল না অথবা স্বাধীনা নারী থেকে হয় যার সাথে ঐ ব্যক্তি যিনা করেছে তবে ওয়ারিসদের দাবীর মাধ্যমে বংশ সাব্যস্ত হবে না। এমন ছেলেকে যার দিকে দাবী করা হচ্ছে সেও যদি দাবী করে তবুও সে তার বংশোদ্ভূত সন্তান হবে না। বরং জারজ সন্তান হবে, চাই সে স্বাধীনা নারী থেকে হোক অথবা দাসী থেকে হোক।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু শু‘আয়ব (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ