হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩৫৩

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - পায়খানা-প্রস্রাবের আদব

৩৫৩-[২০] ’আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব না করে, এরপর আবার সেখানে গোসল করে অথবা উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে। কারণ মানুষের অধিকাংশ ওয়াস্ওয়াসা এসব থেকেই উৎপন্ন হয়। (আবূ দাঊদ)[1] কিন্তু শেষের দু’জন (তিরমিযী ও নাসায়ী), ’’এরপর সেখানে গোসল করে ও উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করে’’ উল্লেখ করেননি।

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ أَوْ يَتَوَضَّأُ فِيهِ فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ إِلَّا أَنَّهُمَا لم يذكرَا: «ثمَّ يغْتَسل فِيهِ أويتوضأ فِيهِ»

ব্যাখ্যা: قوله (لَا يَبُولَنَّ أَحَدُكُمْ فِي مُسْتَحَمِّه) ‘‘তোমাদের কেউ যেন তার গোসলখানায় প্রস্রাব না করে’’ এ কথায় নিষেধের ক্ষেত্র নির্ধারণে মতবিরোধ হয়েছে। কারো কারো মতে নিষেধটি নালার ন্যায় নরমভূমিতে অবস্থিত গোসলখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেখানে কোন ছিদ্র নেই। কারণ নরমভূমিতে পেশাব তার স্বস্থলে অটল থাকে। অপরপক্ষে শক্ত ভূমিতে তা এক স্থানে না থেকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যখন তাতে পানি পড়ে তখন প্রস্রাবের প্রভাবটা দূরীভূত হয়। কিন্তু নরমভূমিতে পেশাব একস্থানে জমে শুকিয়ে যাবার ফলে তার প্রভাবটা যায় না। অপর দলের অবস্থান এর সম্পূর্ণ বিপরীতে তাদের মতে নিষেধটি শক্তভূমিতে অবস্থিত গোসলখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ শক্তভূমিতে প্রস্রাব করলে তার ফোঁটা ফিরে এসে শরীর অপবিত্র হওয়ার আশংকা রয়েছে যা নরম ভূমির ক্ষেত্রে নেই।

قوله (ثُمَّ يَغْتَسِلُ فِيهِ) ‘‘অতঃপর সে তার গোসল সম্পাদন করবে’’ এর দ্বারা তিনি উদ্দেশ নিয়েছেন যতক্ষণ তারা তাতে গোসল করার পরিকল্পনা রাখবে ততদিন নিষেধ কিন্তু যদি তাতে গোসল করে পরিত্যক্তাবস্থায় রেখে দেয় বা কেবল গোসল আরম্ভ করেছে এখনো প্রস্রাব করেনি তাহলে সে গোসলখানায় প্রস্রাব করা নিষিদ্ধ নয়।

 قوله (فَإِنَّ عَامَّةَ الْوَسْوَاسِ مِنْهُ) ‘‘কারণ অধিকাংশ সংশয় এ থেকেই সৃষ্টি হয়’’, অর্থাৎ- গোসলখানা বা উযূখানায় প্রস্রাব করে সেখানে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) বা গোসল করা থেকেই অধিকাংশ সংশয়ের উদ্ভব ঘটে। কারণ সে স্থানটি অপবিত্র হওয়ার ফলে তার মনে এ সংশয়ের সৃষ্টি হয় যে, তার শরীরে প্রস্রাবের কোন ছিটা লাগলো।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ