হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩১৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়

৩১৮-[১৯] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই উযূ (ওযু/ওজু/অজু) সে ব্যক্তির জন্য ওয়াজিব যে কাত হয়ে ঘুমায়। কারণ কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের বন্ধনগুলো শিথিল হয়ে পড়ে। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْوُضُوءَ عَلَى مَنْ نَامَ مُضْطَجِعًا فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ اسْتَرْخَتْ مفاصله. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: ঘুমের মাধ্যমে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভঙ্গের বিষয়ে ‘উলামাহ্ আটটি অভিমতে বিভক্ত হয়েছে যেগুলোকে তিনটিতে সীমিত করা যায়। যথা-

১ম অভিমতঃ সর্বাস্থায় ঘুমের মাধ্যমে উযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে, চাই ঘুম কম হোক বা বেশি হোক।

২য় অভিমতঃ কোন অবস্থাতেই ঘুমের মাধ্যমে উযূ ভঙ্গ হবে না।

৩য় অভিমতঃ হালকা এবং গভীর ঘুমের মাঝে পার্থক্যকরণ। (অর্থাৎ- হালকা ঘুমের মাধ্যমে উযূ ভঙ্গ হবে না আর গভীর ঘুমের মাধ্যমে উযূ ভঙ্গ হবে।) এটি প্রধান সহাবা (সাহাবা), তাবি‘ঈ ফুকহায়ূল ইমাম চতুষ্টয়ের অভিমত। আর এটি সঠিক অভিমত। অতএব, শুধুমাত্র ঘুমই উযূ ভঙ্গের কারণ নয় বরং এজন্য যে, ঘুম বায়ুর নিগর্মন নিয়ন্ত্রণকারী বা রোধকারী গ্রন্থীসমূহ শিথিল হওয়াই কারণ।

৩য় মতাবলম্বীরা আবার ঘুম কম বেশির পরিমাণ বর্ণনা, উযূ ভঙ্গের ক্ষেত্রে বিবেচিত বা গ্রহণযোগ্য ঘুম নির্ধারণ এবং সেই ঘুমের পরিমাণ নির্দিষ্টকরণে অনেক মতবিরোধ করেছেন যা গ্রন্থিসমূহ শিথিল হওয়ার কারণ এবং অনুভূতি চেতনা লোপ হওয়ার কারণ।

ভাষ্যকার ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, আমার নিকট প্রাধান্যযোগ্য মত হলো যে ঘুমের মাধ্যমে চেতনা লোপ পায়, সেই গভীর ঘুমই উযূ ভঙ্গের কারণ, চাই তা যে ধরনের ঘুমই হোক না কেন। তাই চেতনা লোপ পাওয়াটাই আমার নিকট ঘুমের মাধ্যমে উযূ ভঙ্গের শর্ত। অতএব, যখন চেতনা বা অনুভূতি লোপ পায় তখন ঘুমন্ত ব্যক্তি যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন তার উযূ ভেঙ্গে যাবে। আর হুকুমটি শুধুমাত্র গা এলিয়ে শায়িত ব্যক্তির সাথে সীমিত নয় যেমনটি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর হাদীসটি প্রমাণ করে। কারণ এ হাদীসটি য‘ঈফ। আর শায়িত ব্যক্তির হালকা ঘুমের মাধ্যমে তার উযূ বাতিল হবে না।