হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩১৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়

৩১৭-[১৮] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ ’ইশার সালাতের জন্য বসে অপেক্ষা করতেন। এমনকি ঘুমের আমেজে তাদের মাথা নীচের দিকে ঝুঁকে পড়তো। এরপর তারা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, অথচ নতুন উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন না। (আবূ দাঊদ)[1] তবে ইমাম তিরমিযী ’’ইশার সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকতেন’’- এর জায়গায় ’’ঘুম যেতেন’’ শব্দ উল্লেখ করেছেন।

عَن أنس قَالَ: كَانَ أَصَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُونَ الْعشَاء حَتَّى تخفق رؤوسهم ثمَّ يصلونَ وَلَا يتوضؤون. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ إِلَّا أَنه ذكرفيه: ينامون بدل: ينتظرون الْعشَاء حَتَّى تخفق رؤوسهم

ব্যাখ্যা: এ হাদীস দ্বারা কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। প্রথমত যে ব্যক্তি শুয়ে বা চিৎ হয়ে ঘুমায় এর দ্বারা তার উযূ (ওযু/ওজু/অজু) ভেঙ্গে যাবে। দ্বিতীয়ত যে ব্যক্তি জমিনের উপর তার নিতম্ব রেখে বসে বসে ঘুমায়, অতঃপর জাগ্রত হয়ে দেখে যে, সে তার নিতম্ব বা বসন আগের অবস্থায় রয়েছে তাহলে এর দ্বারা তার উযূ বাতিল হবে না। তৃতীয়ত কেউ কেউ বলেনঃ এ হাদীসটি হালকা ঘুমের ক্ষেত্রে উযূ ভঙ্গ হয় না। তেমনিভাবে নাক ডাকা এবং জাগ্রতকারটিও। কারণ কেউ কেউ গভীর ঘুমে যাওয়ার পূর্বে ঘুমের সাথে সাথেই নাক ডাকা শুরু করে, আবার কাউকে এ অবস্থায় জাগিয়ে তুলতে হয় যাতে সে গভীর ঘুমে তন্ময় না হয়ে যায়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ