হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৭৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. (নফল) রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা করা অপরিহার্য

৭৩৫। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, আমি ও হাফসা (রাঃ) দু’জনেই রোযা (নফল) ছিলাম। আমাদের সামনে খাবার আসলো এবং সে খাবারের প্রতি আমাদের লোভ জাগলো। তাই আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন। হাফসা (রাঃ) আমার আগেই তার নিকটে গেলেন। আর তিনি ছিলেন পিতার কন্যা। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা দু’জন রোযা ছিলাম। আমাদের সামনে লোভজনক খাবার আসলে আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তিনি বলেনঃ তোমরা দু’জনে এর বদলে আর একদিন রোযা রেখে নিও।

যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (৪২৩)

আবূ ঈসা বলেন, সালিহ্ ইবনু আবূল আখযার ও মুহাম্মাদ ইবনু আবূ হাফসা তাদের এই হাদীসটিকে যুহরী, উরওয়া, আইশা (রাঃ)-এর সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। মালিক ইবনু আনাস, মামার, উবাইদুল্লাহ্ ইবনু উমার, যিয়াদ ইবনু সা’দ প্রমুখ যুহরীর সূত্রে আইশা (রাঃ)-এর নিকট হতে এই হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এতে তারা উরওয়ার নাম উল্লেখ করেননি। এই সনদ সূত্রটিই অনেক বেশী সহীহ। যেহেতু ইবনু জুরাইজ বলেন, আমি যুহরীকে প্রশ্ন করলামঃ আপনার নিকট আইশা (রাঃ)-এর বরাতে উরওয়া কিছু বর্ণনা করেছেন কি? তিনি বললেন, এই হাদীস প্রসঙ্গে আমি উরওয়ার নিকটে কিছু শুনিনি। তবে সুলাইমান ইবনু আবদুল মালিকের শাসনামলে (৭১৫-৭১৭ খৃঃ) কিছু সংখ্যক ব্যক্তির মাধ্যমে আইশা (রাঃ)-এর সূত্রে আমি এটি শ্রবণ করেছি। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমাদের নিকট এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন আলী ইবনু ঈসা রাওহ ইবনু উবাদার সূত্রে ইবনু জুরাইজ হতে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল সাহাবী ও তাবিঈ এই হাদীস অনুযায়ী আমল করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। অর্থাৎ নফল রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কায আদায় করতে হবে। ইমাম মালিকের ফতোয়াও তাই।

باب مَا جَاءَ فِي إِيجَابِ الْقَضَاءِ عَلَيْهِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ، صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَدَرَتْنِي إِلَيْهِ حَفْصَةُ وَكَانَتِ ابْنَةَ أَبِيهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلْنَا مِنْهُ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ اقْضِيَا يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى صَالِحُ بْنُ أَبِي الأَخْضَرِ وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَ هَذَا ‏.‏ وَرَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَمَعْمَرٌ وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ وَزِيَادُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْحُفَّاظِ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَائِشَةَ مُرْسَلاً ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ عُرْوَةَ وَهَذَا أَصَحُّ ‏.‏ لأَنَّهُ رُوِيَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ قُلْتُ لَهُ أَحَدَّثَكَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَ لَمْ أَسْمَعْ مِنْ عُرْوَةَ فِي هَذَا شَيْئًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُ فِي خِلاَفَةِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ مِنْ نَاسٍ عَنْ بَعْضِ مَنْ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ عِيسَى بْنِ يَزِيدَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ ‏.‏ وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَرَأَوْا عَلَيْهِ الْقَضَاءَ إِذَا أَفْطَرَ وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ‏.‏



Aishah narrated:
"Hafsah and I were both fasting when we were presented some food that we really wanted, so we ate from it. The Messenger of Allah came, and Hafsah beat me to him - she was the daughter of her father - and she said: 'O Messenger of Allah! We were both fasting when we were presented with some food that we wanted, so we ate from it.' He said: 'Make up another day in its place.'"