পরিচ্ছেদঃ পুর্বে বর্ণিত মুহাম্মাদ বিন আশআসের হাদীসের সাথে বাহ্যত বিপরীতধর্মী হাদীসের বর্ণনা
৩৫৩৯. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিয়াম অবস্থায় তাঁর কোন এক স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন। তারপর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হেঁসে দেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কামনাকে সবচেয়ে বেশি সংবরণকারী ছিলেন। তিনি সিয়ামরত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীদের চুম্বন করেছেন, এটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য যে, যে ব্যক্তি তাঁর কামনাকে সংবরণ করতে পারবে, তার জন্য সিয়ামরত অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা বৈধ। আর তাঁর স্ত্রী সিয়ামরত অবস্থায় থাকলে, তখন তিনি এরকম করা থেকে বিরত থাকতেন, এটা জানান দেওয়ার জন্য যে, এসব উপকরণের উপস্থিতিতে নারীদের দুর্বল হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। যখন তাদের অবস্থা এমন হয়, এজন্য আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এধরণের কাজ করতেন না। এমন নয় যে, দুই হাদীসের মাঝে কোন বৈপরীত্ব নেই।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ৪/৮২)
ذِكْرُ الْخَبَرِ الَّذِي يُضَادُّ خَبَرَ مُحَمَّدِ بْنِ الْأَشْعَثِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ فِي الظَّاهِرِ
3539 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ: أَخْبَرَنَا أحمد بن أبي بكر عن مالك عن هشام بن عروة عن أبيه ، عن عائشة أَنَّهَا كَانَتْ تَقُولُ: إِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيُقَبِّلُ بَعْضَ نِسَائِهِ وهو صائم ثم تَضْحَكُ.
الراوي : عائشة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 3539 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (4/ 82): ق.
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رضي الله عنه: كَانَ الْمُصْطَفَى صلى الله عليه وسلم أَمْلَكَ النَّاسِ لِإِرْبِهِ وَكَانَ يُقَبِّلُ نِسَاءَهُ إِذَا كَانَ صَائِمًا أَرَادَ بِهِ التَّعْلِيمَ أَنَّ مِثْلَ هَذَا الْفِعْلِ مِمَّنْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ وَهُوَ صَائِمٌ جَائِزٌ وَكَانَ يتنكَّبُ صلى الله عليه وسلم اسْتِعْمَالَ مِثْلِهِ إِذَا كَانَتْ هِيَ صَائِمَةٌ عِلْمًا مِنْهُ بِمَا رُكِّب فِي النِّسَاءِ مِنَ الضَّعْفِ عِنْدَ الْأَسْبَابِ الَّتِي تَرِدُ عَلَيْهِنَّ فَكَانَ يُبقي عليهنَّ صلى الله عليه وسلم بِتَرْكِ اسْتِعْمَالِ ذَلِكَ الْفِعْلِ إِذَا كُنّ بِتِلْكَ الْحَالَةِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ تَضَادٌ أَوْ تَهَاتُرٌ.