পরিচ্ছেদঃ আমরা যে কাজের কথা আগে বর্ণনা করেছি, তা নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে দ্বিতীয় হাদীস
৩৫২৭. রাফে‘ বিন খাদীজ আওস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে রক্তমোক্ষম করছে আর যাকে রক্তমোক্ষম করে দিচ্ছে উভয়ের সিয়াম ভঙ্গ হয়ে গেছে।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই দুটি হাদীস কোন কোন আলিমকে এই সংশয়ে ফেলে দেয় যে, হাদীস দুটি হয়তো পরস্পর বিপরীত। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহরামরত অবস্থায় সিয়াম পালনকালে রক্ত মোক্ষম করে নিয়েছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এরকম কোন সহীহ বর্ণনা আসেনি যে, তিনি ইহরাম অবস্থা ছাড়া সিয়াম পালনকালে রক্তমোক্ষম করে নিয়েছেন। ইহরাম তিনি সফর অবস্থায় করেছেন। আর মুসাফিরের জন্য সিয়াম ভঙ্গ করা বৈধ; সেটা হতে পারে রক্তমোক্ষম করার মাধ্যমে, হতে পারে পানি বা দুধ পানের মাধ্যমে অথবা অন্য যে কোন জিনিসের মাধ্যমে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “যে রক্তমোক্ষম করছে আর যাকে রক্তমোক্ষম করে দিচ্ছে উভয়ের সিয়াম ভঙ্গ হয়ে গেছে” এটা হলো একটি কাজ সম্পর্কে সংবাদ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো খোদ এই ধরণের কাজ করার ব্যাপারে নিষেধ করা।”[2]
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ৪/৭০-৭১)
[2] আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ তার প্রতিবাদে বলেন, “লেখন রহিমাহুল্লাহ যা বলেছেন, সেটা দুই দিক থেকে ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে:
প্রথমত: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইহরাম অবস্থা ছাড়া সিয়াম রেখে রক্ত মোক্ষম করেছেন, এরকম কোন হাদীস বর্ণিত না হওয়া এটা মোটেও আবশ্যক করে না যে, এরকম কিছু সংঘটিত হয়নি। বরং এই ব্যাপারে বর্ণিত প্রথম মুতলাক বা সাধারণ হাদীসটিই যথেষ্ট। সেটা হলো, তিনি সিয়ামরত অবস্থায় রক্তমোক্ষম করেছেন। বিশেষত সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে, احتجم وهوصائم ، واحتجم وهو محرم (তিনি সিয়ামরত অবস্থায় রক্তমোক্ষম করেছেন এবং তিনি ইহরাম অবস্থাতেও রক্তমোক্ষম করেছেন)। এই হাদীসটি দুটি স্বতন্ত্র ঘটনা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। এই হাদীসটি ঐ হাদীসের চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ যেখানে এই শব্দে বর্ণিত হয়েছে, احتجم وهو صائم محرم (তিনি সিয়ামরত ও মুহরিম অবস্থায় রক্তমোক্ষম করেছেন)। এই হাদীসটি এটাকে একটা ঘটনা হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। গ্রন্থকার এর উপর পথ চলেছেন। অতঃপর যা বলার তা বলেছেন। আর এই ব্যাপারে সহীহ বুখারীর বর্ণনাটি বেশি বিশুদ্ধ। এই ব্যাপারে ইবনু হাজার আসকালানী রহিমাহুল্লাহর কথা জানতে দেখুন ইরওয়াউল গালীল (৪/৭৭)।
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সর্বশেষ সিয়াম পালনকারীর জন্য রক্তমোক্ষম করার বৈধতা সাব্যস্ত রয়েছে। দেখুন সহীহ আবূ দাঊদ (২০৫৫) ও ইরওয়াউল গালীল (৪/৭২-৭৪)।”
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِالزَّجْرِ عَنِ الْفِعْلِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ قَبْلُ
3527 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ: حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَارِظٍ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ: عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم: (أفطر الحاجم والمحجوم)
الراوي : رَافِع بْن خَدِيجٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 3527 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (4/ 70 ـ 71).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رضي الله عنه: هَذَانِ خَبَرَانِ قَدْ أَوْهَمَا عَالَمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّهُمَا مُتَضَادَّانِ وَلَيْسَا كَذَلِكَ لِأَنَّهُ صلى الله عليه وسلم احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ مُحْرِمٌ وَلَمْ يُرْوَ عَنْهُ صلى الله عليه وسلم فِي خَبَرٍ صَحِيحٍ أَنَّهُ احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ دُونَ الْإِحْرَامِ وَلَمْ يَكُنْ صلى الله عليه وسلم مُحْرِمًا قطُّ إِلَّا وَهُوَ مُسَافِرٌ وَالْمُسَافِرُ قَدْ أُبيح لَهُ الْإِفْطَارُ: إِنْ شَاءَ بِالْحِجَامَةِ وَإِنْ شَاءَ بِالشَّرْبَةِ مِنَ الْمَاءِ وَإِنْ شَاءَ بِالشَّرْبَةِ مِنَ اللَّبَنِ أَوْ بِمَا شَاءَ مِنَ الْأَشْيَاءِ.
وَقَوْلُهُ صلى الله عليه وسلم: (أَفْطَرَ الْحَاجِمُ وَالْمَحْجُومُ) لَفْظَةُ إِخْبَارٍ عَنْ فِعْلٍ مُرَادُهَا الزَّجْرُ عَنِ استعمال ذلك الفعل نفسه.