পরিচ্ছেদঃ যে কারণে বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাতে আযান দিতেন
৩৪৬৩. আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয়ই বিলাল রাতে আযান দেয়, যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে আর কিয়ামকারীকে (সাহারী খাওয়ার জন্য) ফিরিয়ে দিতে পারে।” তিনি আরো বলেছেন, “এরকম হলে সেটা ফজর নয়।” রাবী বলেন, “এটা বলে তিনি তাঁর দুই তর্জনী অঙ্গুলির মাধ্যমে ইশারা করেন।” তারপর তিনি বলেন, “বস্তুত ফজর হলো এরকম হওয়া।” এই বলে তিনি তাঁর হাতের তালুকে মাধ্যমে ইশারা করেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্ক্তব্য “নিশ্চয়ই বিলাল রাতে আযান দেয়, যাতে ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করতে পারে আর কিয়ামকারীকে (সাহারী খাওয়ার জন্য) ফিরিয়ে দিতে পারে” এখানে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে এই মর্মে যে, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাতে আযান দিতেন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে তোলার জন্য এবং তাহাজ্জুদ আদায়কারীকে কিয়াম থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। কাজেই মাসজিদে যখন দুইজন মুয়াযযিন থাকবে এবং একজন পূর্বে বর্ণিত উদ্দেশ্যে আযান দিবে আর আরেকজন ফজর উদ্ভাসিত হওয়ার সময় আযান দিবে ফজরের সালাতের জন্য, তবে সেটা জায়েয।
কিন্তু যে ব্যক্তি সুবহে সাদিক উদিত হওয়ার আগে রাতে আযান দেয় ফজরের সালাতের জন্য, তবে তাকে ফজরের সালাতের জন্য পুনরায় আযান দিতে হবে। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এটা প্রমাণিত নেই যে, সে সময় ফজরের আজানের জন্য দুইজনই রাতে আযান দিয়েছেন।
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আত তা‘লীকুর রাগীব: ২/৯২)
ذِكْرُ الْعِلَّةِ الَّتِي مِنْ أَجْلِهَا كَانَ يؤذِّن بلالٌ بليلٍ
3463 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى الْقَطَّانُ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: (إِنَّ بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ لِيُنَبِّهَ نَائِمَكُمْ وَيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ وَلَيْسَ الْفَجْرُ أَنْ يَقُولَ هَكَذَا وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَتَيْنِ وَلَكِنَّ الْفَجْرَ أن يقول هكذا) وأشار بكفه
الراوي : ابْن مَسْعُودٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 3463 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (2032): ق.
قَالَ: أَبُو حَاتِمٍ قَوْلُ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قال: (إن بِلَالًا يُؤَذِّنُ بِلَيْلٍ لِيُنَبِّهَ نَائِمَكُمْ وَيَرْجِعَ قَائِمَكُمْ) فِيهِ أَبْيَنُ الْبَيَانِ عَلَى أَنَّ بِلَالًا كَانَ يُؤَذِّنُ بِاللَّيْلِ لِانْتِبَاهِ النُّوَّامِ وَرُجُوعِ الهُجَّدِ عَنِ الْقِيَامِ لَا لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَإِذَا كَانَ الْمَسْجِدُ لَهُ مُؤَذِّنَانِ وَأَذَّنَ أَحَدُهُمَا بِلَيْلٍ لِمَا وَصَفْنَا وَالْآخَرُ عِنْدَ انْفِجَارِ الصُّبْحِ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ كَانَ ذَلِكَ جَائِزًا فَأَمَّا مَنْ أَذَّنَ بِلَيْلٍ قَبْلَ طُلُوعِ الْفَجْرِ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ كَانَ عَلَيْهِ الْإِعَادَةُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ فَإِنَّهُ لَمْ يَصِحَّ أَنَّهُ أَذَّنَ لَهُ صلى الله عليه وسلم بِلَيْلٍ إِلَّا مؤذنان لا مؤذن واحد.