পরিচ্ছেদঃ জুমু‘আর দিন যেই আমলগুলো কোন ব্যক্তি করলে তিনি জান্নাতের অধিবাসী হবেন
২৭৬০. আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পাঁচটি আমল কোন ব্যক্তি কোন দিন পালন করলে, আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত লিপিবদ্ধ করবেন। (১) যে ব্যক্তি কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায়, (২) কোন জানাযায় উপস্থিত হয়, (৩) একদিন সিয়াম রাখে, (৪) সকাল সকাল জুমু‘আয় গমন করে এবং (৫) কোন দাস মু্ক্ত করে।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহাহ: ১০২৩)
ذِكْرُ الْخِصَالِ الَّتِي إِذَا اسْتَعْمَلَهَا الْمَرْءُ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
2760 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ أَنَّ بَشِيرَ بْنَ أَبِي عَمْرٍو الْخَوْلَانِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ قَيْسٍ التُّجِيبِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ: حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (خمسٌ مَنْ عَمِلَهُنَّ فِي يَوْمٍ كَتَبَهُ اللَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ: مَنْ عَادَ مَرِيضًا وَشَهِدَ جَنَازَةً وَصَامَ يوماً وراح يوم الجمعة وأعتق رقبة)
الراوي : أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2760 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (1023).
পরিচ্ছেদঃ জুমু‘আর দিন যেই আমলগুলো কোন ব্যক্তি করলে তিনি জান্নাতের অধিবাসী হবেন
২৭৬১. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি তূর পাহাড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। অতঃপর কা‘ব আল আহবার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাত করে তার সাথে বসি, তখন তিনি আমাকে তাওরাত সম্পর্কে আলোচনা করেন আর আমি তার কাছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস বর্ণনা করি। আমি তাকে যা বর্ণনা করেছিলাম, তন্মধ্যে অন্যতম হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সূর্য যত দিনের উপর উদিত হয়, তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমু‘আর দিন। এই দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই দিনে তিনি মারা গিয়েছেন, এই দিনে তাঁর দুয়া কবূল করা হয় এবং এই দিনে কিয়ামত সংঘটিত হবে।
জুমু‘আর দিন সকাল থেকে পরদিন সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি প্রাণী কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার শংকায় (শিঙ্গার ফুঁৎকার শুনার জন্য) মনোযোগী থাকে। এই দিনে একটি সময় আছে, সে সময়ে কোন মুসলিম ব্যক্তি সালাতরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলে, অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দিবেন।”
কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “এমনটা বছরে একদিন হয়ে থাকে।” আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি বললাম, বরং এটা প্রত্যেক জুমু‘আর দিন হয়ে থাকে।” তিনি বলেন, তারপর কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাওরাত পাঠ করে বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন।”
আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তারপর আমি বসরাহ বিন আবূ বাসরাহ আল গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাত করি। তিনি আমাকে বলেন, “আপনি কোথায় থেকে আগমন করলেন?” আমি বললাম, “তূর পাহাড় থেকে।” তিনি বলেন, “তূর পাহাড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে যদি আমি আপনার সাক্ষাত পেতাম, তবে আমি সেখানে যাত্রা করতেন না। আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “তিনটি মাসজিদ ব্যতিত অন্য কোন কিছুর উদ্দেশ্যে বাহন প্রস্তুত করা যাবে না। তিনটি মাসজিদ হলো মাসজিদুল হারাম, আমার এই মাসজিদ এবং ঈলীয়া বা বাইতুল মাকদিস –অধঃস্তন রাবী সন্দেহ পোষন করেছেন-।”
আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তারপর আমি আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সাথে সাক্ষাত করি অতঃপর আমি তাকে কা‘ব আল আহবার ও তাঁকে আমি জুমু‘আর দিন সম্পর্কে যা বর্ণনা করেছিলাম, সে সম্পর্কে জানাই। আমি তাকে বলি, কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, “এমনটা বছরে একদিন হয়।” তখন আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “কা‘ব অসত্য কথা বলেছে।” আমি বললাম, “তারপর কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাওরাত পাঠ করে বলেছেন, “বরং এটি প্রত্যেক জুমু‘আর দিন হয়।” তখন আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “কা‘ব সত্য বলেছে।” তারপর তিনি বলেন, “আপনি কি জানেন, সেটা কোন সময়?”
আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আমি তাকে বললাম, আপনি আমাকে সে সম্পর্কে অবহিত করুন। দয়া করে এই ব্যাপারে কৃপণতা করবেন না।” জবাবে তিনি বলেন, “এটা হলো জুমু‘আর দিনের শেষ মুহুর্ত।” আমি বললাম, “কিভাবে এটা জুমু‘আর দিনের শেষ মুহুর্ত হবে, অথচ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেননি, “যে ব্যক্তি সালাত আদায় করার জন্য অপেক্ষা করে, সে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সালাতের মধ্যের থাকে?” আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “হ্যাঁ।” তখন আব্দুল্লাহ বিন সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “এটি তেমনই।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৯৬২)
ذِكْرُ الْخِصَالِ الَّتِي إِذَا اسْتَعْمَلَهَا الْمَرْءُ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
2761 - أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٌ عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ إِلَى الطُّورِ فَلَقِيتُ كَعْبَ الْأَحْبَارِ فَجَلَسْتُ مَعَهُ فَحَدَّثَنِي عَنِ التَّوْرَاةِ وَحَدَّثْتُهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ فِيمَا حَدَّثَتهُ أَنْ قُلْتُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهبط وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تِيب عَلَيْهِ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا وَهِيَ مُصِيخةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينِ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلَّا الْجِنَّ وَالْإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يُصادفها عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ)
قَالَ كَعْبٌ: ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ! فَقُلْتُ: بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ قَالَ: فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فلقيتُ بَصْرَةَ بْنَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيَّ فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ؟ فَقُلْتُ: مِنَ الطُّورِ فَقَالَ: لَوْ أدركتُكَ قَبْلَ أَنْ تَخْرُجَ إِلَيْهِ مَا خرجتَ إِلَيْهِ سَمِعْتُ رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: لَا تُعْمَلُ المَطِيُّ إِلَّا إِلَى ثَلَاثَةِ مَسَاجِدَ: إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِلَى مَسْجِدِي هَذَا وَإِلَى مسجد إيلياء أو بَيْتِ الْمَقْدِسِ - شَكَّ أَيُّهُمَا -)
قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلَامٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبِ الْأَحْبَارِ وَمَا حَدَّثَتهُ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ لَهُ: قَالَ كَعْبٌ: وَذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: كَذَبَ كَعْبٌ قُلْتُ: ثُمَّ قَرَأَ التَّوْرَاةَ فَقَالَ: بَلْ هِيَ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: صَدَقَ كَعْبٌ ثُمَّ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: قَدْ عَلِمْتُ أيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ: ثُمَّ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَقُلْتُ لَهُ: فَأَخْبِرْنِي بِهَا وَلَا تَضْنَنْ عَلَيَّ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: وَكَيْفَ تَكُونُ آخِرَ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (لَا يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي) وَتِلْكَ سَاعَةٌ لَا يُصَلَّى فِيهَا فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلَامٍ: أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ جَلَسَ يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ حَتَّى يُصَلِّيَهَا) قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: بَلَى قَالَ: فهو ذاك.
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2761 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (962)، ((أحكام الجنائز)) (287).