পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ অবধি তারাবীহ সালাত আদায় করে, মহান আল্লাহ্ তার জন্য পুরো রাত কিয়াম করার সাওয়াব লিপিবদ্ধ করে দিয়ে তার প্রতি অনুগ্রহ করেন
২৫৩৮. আবূ যার গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সিয়াম রাখি অতঃপর তিনি আমাদের নিয়ে ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ যখন ষষ্ঠ রাত অবশিষ্ট ছিল, সে রাতে) কিয়াম করলেন না। তারপর পঞ্চম রাতে আমাদের নিয়ে কিয়াম করেন, অতঃপর তিনি (বাকী) রাত (শেষ হওয়ার) প্রতিক্ষা করতে থাকেন। তখন আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি আপনি আমাদের নিয়ে এই রাতের বাকী অংশও কিয়াম করতেন, (তবে সেটা কতইনা ভালো হতো)।” জবাবে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষাবধি কিয়াম করে, তার জন্য পুরো রাত কিয়াম করার সাওয়াব লিখে দেওয়া হয়।”
তারপর তিনি আমাদের নিয়ে আর কিয়াম করেননি। এমনকি আর মাত্র তিনরাত বাকী থাকে। তখন তিনি তৃতীয় রাতে (অর্থাৎ যখন তৃতীয় রাত অবশিষ্ট ছিল, সে রাতে) কিয়াম করেন। এ রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী-পরিবার-পরিজনকে জমায়েত করেন। অতঃপর তিনি আমাদের নিয়ে (এতো দীর্ঘ) কিয়াম করেন যে, আমরা আশংকা করি যে, হয়তো আমাদের ফালাহ (সাহারী খাওয়া) ছুটে যাবে।”[1]
অধঃস্তন রাবী বলেন, “আমি বললাম, “আচ্ছা, ফালাহ কী?” জবাবে তিনি বলেন, “সাহারী।”
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আবূ যার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য “তিনি আমাদের নিয়ে ষষ্ঠ রাতে (অর্থাৎ যখন ষষ্ঠ রাত অবশিষ্ট ছিল, সে রাতে) কিয়াম করলেন না। তারপর পঞ্চম রাতে আমাদের নিয়ে কিয়াম করেন” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো শেষ দশ রাত থেকে যা বাকী থাকে, সেটা; এর দ্বারা বিগত রাত উদ্দেশ্য নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই রমযান মাসে এই ভাষন দিয়েছিলেন, সেই রমযান মাসটি ২৯ শে ছিল। কাজেই ২৯ রাত থেকে যখন ৬ষ্ঠ রাত বাকী ছিল, সেই রাতটি ছিল ২৪ রমযান দিবাগত রাত। আর ২৯ রাত থেকে যখন ৫ম রাত বাকী ছিল, সেই রাতটি ছিল ২৫ রমযান দিবাগত রাত।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১২৪৫)
ذِكْرُ تَفَضُّلِ اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا بِكَتْبِهِ قِيَامَ الليل كله لمن صلى مَعَ الْإِمَامِ التَّرَاوِيحَ حَتَّى يَنْصَرِفَ
2538 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو قُدَامَةَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: صُمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَضَانَ فَلَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ وَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ يَنْتَظِرُ اللَّيْلَ فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ فَقَالَ:
(إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ) ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا حَتَّى بَقِيَ ثَلَاثَةٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَجَمَعَ أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ فَقَامَ بِنَا حَتَّى تَخَوَّفْنَا أَنْ يَفُوتنا الفلاح قلت: وما الفلاح؟ قال: السحور.
الراوي : أَبُو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2538 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1245).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: قَوْلُ أَبِي ذَرٍّ: لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ وَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ يُرِيدُ: مِمَّا بَقِيَ مِنَ الْعَشْرِ لَا مِمَّا مَضَى مِنْهُ وَكَانَ الشَّهْرُ الَّذِي خَاطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّتَهُ بِهَذَا الْخَطابِ فِيهِ تِسْعًا وَعِشْرِينَ فَلَيْلَةُ السَّادِسَةِ مِنْ بَاقِي تِسْعٍ وَعِشْرِينَ تَكُونُ لَيْلَةَ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ وَلَيْلَةُ الْخَامِسَةِ مِنْ بَاقِي تِسْعٍ وَعِشْرِينَ تَكُونُ لَيْلَةَ الْخَامِسِ وَالْعِشْرِينَ.