পরিচ্ছেদঃ আমরা যা উল্লেখ করলাম, তার বিশুদ্ধতা প্রমাণে দ্বিতীয় হাদীস
২৫৩৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযানের এক মধ্য রাতে বের হন এবং মাসজিদে সালাত আদায় করেন। লোকজনও তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। অতঃপর লোকজন সকাল বেলায় এটা নিয়ে আলোচনা করেন। ফলে লোকসংখ্যা বেড়ে যায়। দ্বিতীয় রাতেও তিনি বের হন এবং সালাত আদায় করেন। লোকজনও তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। অতঃপর লোকজন সকাল বেলায় এটা নিয়ে আলোচনা করেন। ফলে লোকসংখ্যা বেড়ে যায়।
তারপর তৃতীয় রাতেও তিনি বের হন এবং সালাত আদায় করেন। লোকজনও তাঁর সাথে সালাত আদায় করেন। অতঃপর লোকজন সকাল বেলায় এটা নিয়ে আলোচনা করেন। ফলে লোকসংখ্যা বেড়ে যায়, এমনকি মাসজিদে লোক সংকুলান হয়নি। এদিন তিনি বের হলেন না। তখন লোকজন বলতে লাগলো, “আস সালাহ” তারপরও তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বের হলেন না। অতঃপর তিনি ফজরের সালাত আদায় করার জন্য বের হন। যখন তিনি ফজরের সালাত শেষ করেন, তখন তিনি হামদ-সানা পাঠ করেন তারপর বলেন, “আম্মা বা‘দ। নিশ্চয়ই তোমাদের আজকের রাতের কর্মকান্ড আমার কাছে গোপন ছিল না। কিন্তু আমি আশংকা করেছি যে, রাতের এই সালাত তোমাদের উপর ফরয করে দেওয়া হবে, অতঃপর তোমরা তা পালনে অক্ষম হয়ে যাবে।”
রাবী বলেন, “তিনি লোকদের রমযানের কিয়াম করতে উদ্বুদ্ধ করতেন কিন্তু তাদের দৃঢ়তার সাথে আদেশ করতেন না। তিনি বলতেন, “যে ব্যক্তি ঈমানসহ সাওয়াবের আশায় কদরের রাতে কিয়াম করবে, আল্লাহ তার পূর্বের গোনাহ ক্ষমা করে দিবেন।”
রাবী বলেন, “তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মারা যান, ব্যাপারটি এরকই থাকে। তারপর আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালে এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর খেলাফতকালের শুরুর দিকেও অনুরুপ ছিল। তারপর উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উবাই বিন কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পিছনে লোকদের জমায়েত করেন। ফলে তিনি লোকদের নিয়ে রমযানে সালাত আদায় করেন। রমযান মাসে একজন কারীর পিছনে এটাই ছিল লোকদের প্রথম জমায়েত।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটির ব্যাপারে স্পষ্ট কোন মন্তব্য করেননি। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১২৪৩)
ذِكْرُ خَبَرٍ ثَانٍ يُصَرِّحُ بِصِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ
2534 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ الْأَيْلِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى النَّاسُ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَتَحَدَّثُونَ بِذَلِكَ فكَثُرَ النَّاسُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمُ اللَّيْلَةَ الثَّانِيَةَ فَصَلَّى فصلَّوا بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحُوا يَتَحَدَّثُونَ بِذَلِكَ حَتَّى كَثُرَ النَّاسُ فَخَرَجَ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَصَلَّى فَصَلَّوْا بِصَلَاتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَتَحَدَّثُونَ بِذَلِكَ فَكَثُرَ النَّاسُ حَتَّى عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ فَطَفِقَ النَّاسُ يَقُولُونَ: الصَّلَاةَ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ حَتَّى خَرَجَ لِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا قَضَى صَلَاةُ الْفَجْرِ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فتشهَّدَ ثُمَّ قَالَ: (أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ شَأْنُكُمُ اللَّيْلَةَ وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ صَلَاةُ اللَّيْلِ فَتَعْجِزُوا عَنْ ذَلِكَ وَكَانَ يُرَغِّبُهُمْ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ بِعَزِيمَةٍ يَقُولُ: (مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ.
قَالَ: فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَذَلِكَ كَانَ فِي خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ وصدرٍ مِنْ خِلَافَةِ عُمَرَ حَتَّى جَمَعَهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فَقَامَ بِهِمْ فِي رَمَضَانَ وَكَانَ ذلك أول اجتماع الناس على قارىءٍ واحد في رمضان.
الراوي : عَائِشَة | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2534 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (1243): ق.