পরিচ্ছেদঃ ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ রয়েছে যে, তিনি কোন সালাত জামা‘আতে আদায় করবেন, তার সেই সালাতে তার কওমের লোকদের ইমামতি করবে
২৩৯৩. জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “মুয়ায বিন জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সালাত আদায় করতেন, তারপর তিনি তার কওমের কাছে ফিরে যেতেন এবং তাদের ইমামতি করতেন।
রাবী বলেন, “একরাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইশার সালাত আদায়ে বিলম্ব করেন। অতঃপর মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ফিরে যান এবং আমাদের ইমামতি করার জন্য সামনে অগ্রসর হন। অতঃপর তিনি সূরা বাকারাহ পাঠ শুরু করেন। এটা দেখে কওমের এক ব্যক্তি মাসজিদের এক কোণে গিয়ে একাকী সালাত আদায় করেন। তারপর চলে যান। তখন আমরা তাকে বললাম, “হে ওমুক, তোমার কী হয়েছে? তুমি কি মুনাফিক হয়ে গিয়েছো?” জবাবে তিনি বলেন, “না, আমি মুনাফিক হয়ে যাইনি। অবশ্যই আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যাবো এবং তাঁকে আমি ব্যাপারটি অবহিত করবো।” অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যান এবং তাঁকে বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নিশ্চয়ই মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আপনার সাথে সালাত আদায় করেন, তারপর তিনি ফিরে এসে আমাদের ইমামতি করেন। আর আপনি গতরাতে ইশার সালাত বিলম্বে আদায় করেছিলেন। তারপর মুয়ায রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাদের কাছে এসে আমাদের ইমামতি করার জন্য সামনে যান এবং সূরা বাকারাহ পাঠ শুরু করেন। অতঃপর যখন আমি সেটা দেখি, তখন আমি সেখান থেকে সরে এসে একাকী সালাত আদায় করেছি, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা সেচের কাজে ব্যবহৃত উটনীর মালিক, আমরা নিজ হাতে কাজ-কর্ম করি।” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হে মুয়ায, তুমি কি ফিতনাবাজ হতে চাও? তুমি তাদের নিয়ে ওমুক ওমুক সূরা পাঠ করবে।”
আমর বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ছোট ছোট সূরা পাঠ করার নির্দেশ দেন, যা আমার আয়ত্ত্বে নেই।”
সুফিয়ান বলেন, “তারপর আমরা আমরকে বললাম, নিশ্চয়ই আবুয যুবাইর তাদেরকে বলেছেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন, “ তুমি তাদের নিয়ে {السماء والطارق} (আসমান ও রাতে আগমনকারী (উজ্জ্বল নক্ষত্রের) শপথ।” –সূরা তারিক: ১), والسماء ذات البروج (তারকাবিশিষ্ট্য আকাশের কসম।– সূরা বরূজ: ১), والشمس وضحاها (সূর্য ও তার আলোর শপথ। -সূরা শামস: ১।),
والليل إذا يغشى (রাতের শপথ, যখন তা আচ্ছাদিত হয়। – সূরা লাইল: ১)- এসব (সূরা) পাঠ করবে।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ২৯৫)
ذِكْرُ الْإِبَاحَةِ لِلْمَرْءِ أَنْ يُؤَدِّيَ فَرْضَهُ جَمَاعَةً ثُمَّ يَؤُمَّ النَّاسَ بِتِلْكَ الصَّلَاةِ
2393 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ بَشَّارٍ الرَّمَادِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دينار سمع جابر بن عبد اللَّهِ قَالَ: كَانَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى قَوْمِهِ فَيَؤُمُّهُمْ قَالَ: فأخَّر النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَصَلَّى مَعَهُ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ ثُمَّ رجَع إِلَيْنَا فَتَقَدَّمَ ليؤُمَّنا فَافْتَتَحَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ تَنَحَّى فَصَلَّى وَحْدَهُ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقُلْنَا لَهُ: مَا لَكَ يَا فُلَانُ؟ أَنَافَقْتَ؟ قَالَ: مَا نَافَقْتُ وَلَآتِيَنَّ النبي فَلَأُخْبِرَنَّهُ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مُعَاذًا يُصَلِّي مَعَكَ ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَؤُمُّنَا وَإِنَّكَ أَخَّرْتَ الْعِشَاءَ الْبَارِحَةَ فَصَلَّى مَعَكَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْنَا فَتَقَدَّمَ لَيَؤُمَّنَا فَافْتَتَحَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ تَنَحَّيْتُ فَصَلَّيْتُ وَحْدِي أَيْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّمَا نَحْنُ أَصْحَابُ نواضِحَ وَإِنَّمَا نَعْمَلُ بِأَيْدِينَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أفتانٌ أَنْتَ يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ يَا مُعَاذُ اقْرَأْ بِسُورَةِ كَذَا وَسُورَةِ كَذَا)
قَالَ عَمْرٌو: وَأَمَرَهُ بِسُوَرٍ قِصَارٍ لَا أَحْفَظُهَا.
قَالَ سُفْيَانُ: فَقُلْنَا لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ: إِنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ قَالَ لَهُمْ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ: (اقْرَأْ بـ {السماء والطارق} [الطارق: 1] , {والسماء ذات البروج} [البروج: 1] , {والشمس وضحاها} [الشمس: 1] {والليل إذا يغشى} [الليل: 1])
قال عمرو: نحو هذا.
الراوي : جَابِر | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2393 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (613 و 756): ق.