পরিচ্ছেদঃ শর্তহীন এই নির্দেশের যে ব্যক্তি ভিন্ন ব্যাখ্যা করে, তার ব্যাখ্যা অপনোদনকারী হাদীস
২১১১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় ঘোড়ায় আরোহন করেন, অতঃপর ঘোড়া তাঁকে একটি খেজুর গাছের ডালের উপর ফেলে দেয় ফলে তাঁর পা ফেটে যায়। অতঃপর আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কামরায় আমরা তাঁকে দেখতে পেলাম, এসময় তিনি বসে নফল সালাত আদায় করছিলেন। অতঃপর আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়ালাম। তিনি আমাদের থেকে সরে গেলেন। তারপর আমরা আবার তাঁর কাছে আসি এবং তাঁকে ফরয সালাত আদায় করতে দেখি। আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়াই। তিনি আমাদের দিকে ইশারা করলেন ফলে আমরা বসে পড়লাম। অতঃপর যখন তিনি সালাত শেষ করলেন, তখন বললেন, “যখন ইমাম বসে সালাত আদায় করবে, তখন তোমরাও বসে সালাত আদায় করবে, আর যখন ইমাম ইমাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তখন তোমরাও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে। পারসিকরা যেমন তাদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে করে, তোমরা সেরকম করবে না।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হাদীসে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যে বলা হয়েছে “অতঃপর আমরা তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করি” এটি এই লোকের ব্যাখ্যাকে স্পষ্টভাবে বাতিল করে। কেননা সাহাবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে দাঁড়িয়ে তাশাহ্হুদ পড়েননি। অনুরুপভাবে অন্য সালাতে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যে বলা হয়েছে “আমরা দাঁড়ানো অবস্থায় তাঁর মতো সালাত আদায় করি।তখন তিনি আমাদের ইঙ্গিত করে বলেন, “তোমরা বসে সালাত আদায় করো।” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কিয়াম, যা সালাতে ফরয; এখানে তাশাহ্হুদ উদ্দেশ্য নয়।”
হাদীসটিকে আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৬১৫)
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ تَأْوِيلَ هَذَا الْمُتَأَوِّلِ لِهَذَا الأمر المطلق
2111 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: صُرِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ فَرَسٍ لَهُ فَوَقَعَ عَلَى جِذْعِ نخلةٍ فَانْفَكَّتْ قَدَمُهُ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ نَعُودُهُ وَهُوَ يُصَلِّي فِي مَشْرُبَةٍ لِعَائِشَةَ جَالِسًا فَصَلَّيْنَا بِصَلَاتِهِ وَنَحْنُ قِيَامٌ ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَيْهِ مَرَّةً أُخْرَى وَهُوَ يُصَلِّي جَالِسًا فَصَلَّيْنَا بِصَلَاتِهِ وَنَحْنُ قِيَامٌ فَأَوْمَأَ إِلَيْنَا أَنِ اجْلِسُوا فَلَمَّا صَلَّى قَالَ: (إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا صَلَّى قَائِمًا فَصَلُّوا قِيَامًا وَإِنْ صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا وَلَا تَقُومُوا وَهُوَ جَالِسٌ كَمَا يَصْنَعُ أهل فارس بعظمائها).
الراوي : جَابِر ِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2111 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((الإرواء)) (2/ 122)، ((صحيح أبي داود)) (615).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: فِي قَوْلِ جَابِرٍ: ((فَصَلَّيْنَا بِصَلَاتِهِ وَنَحْنُ قِيَامٌ)) بَيَانٌ وَاضِحٌ عَلَى دَحْضِ قَوْلِ هَذَا الْمُتَأَوِّلِ إِذِ الْقَوْمُ لَمْ يتشهَّدوا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ قِيَامٌ وَكَذَلِكَ قَوْلُهُ فِي الصَّلَاةِ الْأُخْرَى: ((فَصَلَّيْنَا بِصَلَاتِهِ وَنَحْنُ قِيَامٌ فَأَوْمَأَ إِلَيْنَا: أَنِ اجْلِسُوا أَرَادَ بِهِ الْقِيَامَ الَّذِي هُوَ فَرْضُ الصَّلَاةِ لَا التَّشَهُّدَ).